
ছবি :সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান। রায় শুনে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি হিংসা চাই না, আমি এ দেশে অহিংসা চাই। সেইজন্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাইকে আমি অজস্র চুমু জানাচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, 'সুদীর্ঘ নয় বছর পরে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রশংসা করছি মাননীয় বিচারপতিবৃন্দকে। তাঁরা প্রতিষ্ঠা করলেন যে এখন বিচার বিভাগ স্বাধীন।'
তার আইনজীবীরা বলেন, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।এই মামলায় তদন্তে, এই মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আমি জনাব শফিক রহমানের সাথে বসে, ফোজদারি এবং দেওয়ানি সহ যত ধরনের আইনি ব্যবস্থা আছে তাদের এই মিথ্যা ষড়যন্ত্রের জন্য, আমরা সেভাবেও একটা আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পারি।'
২০১৬ সালে পাঁচ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ছয় বছরের প্রবাস জীবন থেকে ১৮ই আগস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান। দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি তার সাজা পরোয়ানা স্থগিত করা হয়। পরে গত ২৭ এপ্রিল সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। ওইদিন শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছিল।
সা/ই