
ছবি: প্রতীকী
দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে, যার ৫৫ শতাংশই ব্যবহার করছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক। ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন কেনাকাটা ও দাফতরিক অনলাইন কার্যক্রমে ব্যান্ডউইথ ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটছে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তিনটি ক্যাটাগরিতে (৫, ১০ ও ২০ এমবিপিএস) ব্রডব্যান্ডের মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। তবে বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর বিটিআরসি নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে, যেখানে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে।
নতুন মূল্যহার:
- ৫ এমবিপিএস সংযোগ: ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা
- ১০ এমবিপিএস সংযোগ: ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা
বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (ISP) ইতোমধ্যে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির সংযোগ প্রদান করছে। ফলে বিটিআরসির নতুন মূল্যহার অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সেবাদাতারা।
বর্তমানে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম বিটিআরসি নির্ধারণ করেছে ৩৬৫ টাকা, যদিও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। কিন্তু বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হয় ৩৬৫ টাকার ভিত্তিতে, যা অপারেটরদের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করছে।
এই পরিস্থিতিতে বিটিআরসি ঘোষণা দিয়েছে, ১ জুলাই থেকে প্রতি এমবিপিএসে ১০০ টাকা মূল্য হ্রাস করা হবে এবং রাজস্ব ভাগাভাগির হারও কিছুটা কমানো হবে।
গ্রাহকদের জন্য বাড়তি সুরক্ষা:
বিটিআরসি তাদের প্রজ্ঞাপনে বলেছে,
- টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা না থাকলে মাসিক বিলের ৫০% ছাড়
- ১০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫% বিল দিতে হবে
- ১৫ দিন বা তার বেশি সেবা না পেলে পুরো মাসের বিল মওকুফ
যদিও বিটিআরসির উদ্যোগ ভালো অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়, বাস্তবে অনেক আইএসপি এর আগেই নতুন দর নিচে নেমে এসেছে, ফলে নতুন সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, বাজার বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী উদ্যোগ দরকার।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=dJFA5UbTVO8
রাকিব