
আওয়ামী লীগ আদর্শগতভাবে ফ্যাসিস্ট হয়, তার রাজনৈতিক কৌশল যদি সন্ত্রাসবাদ হয়—তাহলে বিএনপি বা অন্য কেউ তাকে রাখতে চাইলেও কিছু যায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন, পিনাকী ভট্টাচার্য।
আজ সোমবার (১২ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন পিনাকী।
পিনাকী ভট্টাচার্য তার পোস্টে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল, তার আদর্শ বা কর্মপদ্ধতি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চালাতে দেবে কি না—এই প্রশ্নগুলো জনমত দিয়ে নির্ধারিত হয় না। এই সিদ্ধান্ত আসে জুরিসপ্রুডেন্স থেকে, পলিটিক্যাল ফিলোজফি থেকে, আর একটা রাষ্ট্রের মৌলিক ন্যায়ের ধারণা থেকে।
একটা দলকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে জনমত, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, কিংবা ভোটের অঙ্ক—এইসব সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
রাষ্ট্রকে দেখতে হবে—এই দলটির আদর্শ, পদ্ধতি, রাষ্ট্রচর্চা—তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে খাপ খায় কি না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, না খেলে, রাষ্ট্র তাকে নিষিদ্ধ করবেই। কে কী বললো, জনমত কোন দিকে—তা মুখ্য নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো—তার গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক কাঠামো রক্ষা করা।
একটা দলকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে জনমত, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, কিংবা ভোটের অঙ্ক—এইসব ইস্যু সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
রাষ্ট্রকে বিচার করতে হবে দলটির আদর্শ, কর্মপদ্ধতি ও রাষ্ট্রচর্চা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে মিলছে কি না। না মিললে, রাষ্ট্র তাকে নিষিদ্ধ করতাই পারে। কে কী বললো, জনমত কোন পক্ষে, এসব বিবেচ্য নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তার গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক কাঠামো সর্বতোভাবে রক্ষা করা।
এখন যদি আওয়ামী লীগ আদর্শগতভাবে ফ্যাসিস্ট হয়, তার রাজনৈতিক কৌশল যদি সন্ত্রাসবাদ হয়—তাহলে বিএনপি বা অন্য কেউ তাকে রাখতে চাইলেও কিছু যায় আসে না। রাষ্ট্রের ভিত্তির সাথে যদি সংগতি না থাকে, তাহলে সে দল থাকবে না। অন্যদিকে, যদি আওয়ামী লীগ সত্যিই গণতান্ত্রিক আদর্শে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে বিএনপি বা জামায়াত যা-ই করুক, তাকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। এখানেও জনমতের জায়গা নেই।
আওয়ামী লীগ যদি সত্যিই ফ্যাসিস্ট-টেররিস্ট সংগঠন হয়, তাহলে তার পক্ষে থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থনই তার অপরাধ ধুয়ে ফেলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, সুতরাং আজকের রাষ্ট্র যদি সৎ হয়, যদি সংবিধান-বিশ্বাসী হয়, যদি ইনসাফের ধারণা বজায় রাখতে চায়, তবে তাকে দেখতে হবে—আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।
সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে—না কোনো ফেসবুক পোস্ট দেখে, না কোনো টকশো দেখে, না কোনো “রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য” দেখে।
এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের।এই সিদ্ধান্ত ইতিহাসের।এই সিদ্ধান্ত ইনসাফের।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। আজ ইনসাফ জয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ, রাজনীতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এই আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।
ফুয়াদ