ছবি: সংগৃহীত
আমলা থেকে রাজনীতিবিদ, এরপর এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটির সদস্য হন ড. আব্দুর রাজ্জাক। ক্ষমতার প্রভাব আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের লোভ পিছু ছাড়েনি তার। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। অর্থ পাচার সহ দেশে ও দেশের অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
টাঙ্গাইলে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে তার আশীর্বাদপুষ্ট নেতাকর্মী ও স্বজনদেত বিরুদ্ধেও। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুসুদ্দি গ্রামে একটি বাড়ি, দেখলে মনে হবে কোন অভিজাত আবাসিক এলাকা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং তার স্বজনরা গড়ে তুলেছেন অত্যাধুনিক ভবন। এলাকাবাসী বলছেন, টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে এক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ফলে রাজনীতি ও প্রশাসন চলেছে তার নির্দেশেই। নির্বাচনী এলাকা মধুপুর ও ধনবাড়ি সহ পুরো জেলায় অপকর্মের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে তার ঘনিষ্ঠরা৷
রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং নিজ গ্রামের বাড়িতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করাসহ আমেরিকার ১২টি পেট্রল পাম্পের শেয়ার আর সুপারশপসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষমতার কাছে প্রকৃতিও যেন হার মানে। তাইতো নিজের গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহমান নদীর গতি পথ পরিবর্তন করে তিনি নদীর জায়গা দখল করে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন কলেজ।
ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু কায়সারের বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রামের শতাধিক বিঘা কৃষি জমি দখলের অভিযোগ। জমি রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান সুমন নামের এক যুবক।
২০০১ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন আব্দুর রাজ্জাক। স্বাভাবিক জীবনযাপন ছিলো তার। পুরানো মডেলের গাড়িতেই চলাফেরা কিংবা নির্বাচনী এলাকায় ছিলো না তার বাড়িও। কিন্ত মন্ত্রী হওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। হয়ে যান অঢেল সম্পত্তির মালিক। টাঙ্গাইলের মধুপুর ধনবাড়ি আসন থেকে টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক। সাবেক এই মন্ত্রী ছাত্র-জনতা হত্যার একাধিক মামলার আসামি এখন। গত ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন তিনি। তার পরিবারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বিদেশ যাত্রায়।
রিফাত
