৬ টি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চার কমিশন গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে চারটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে।প্রস্তাবনার একটি হলো বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা।
একটা কমিশনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একটা দেশের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন বিশ্লেষকরা ।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নাম পরিবর্তন করে জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ নাম করার প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন -"বাংলাদেশকে যেভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বলা হয়, তার মধ্যে আসলে যে প্রজাতন্ত্রের কথা হয়, সেটায় আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের পরিচিত হওয়া উচিত 'জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ',"
সংবিধান সংস্কার কমিটির নতুন এই প্রস্তাবনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া,প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় পার্টি।তিনি বলেন একটি দেশের নাম পরিবর্তন করা এবং দেশের মূলনীতি পরিবর্তন করা শুধুমাত্র একটি কমিটির দায়িত্ব নয় একটি গণতান্ত্রিক দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সেটি পরিবর্তন যোগ্য।শুধুমাত্র একটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় একটি দেশের নাম পরিবর্তন হবে সেটি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি মনে করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ পরিবর্তন করার যে প্রস্তাব সেখানে রাজনৈতিক দলসহ দেশের জনগণের মতামত খুব নেয়া খুব প্রয়োজন ছিল।তাঁর মতে প্রয়োজনে এখানে একটি গণ ভোট হওয়ার যৌক্তিকতা ছিল।
এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আরো বলেন ,৩০লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে,মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ নামটি এসেছে ,সেখানে এই পুরো এই দেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলা খুব বিতর্কের জন্ম দেয়।এত বড় সিদ্ধান্তে অবশ্যই রাজনৈতিক দল,সুশীল সমাজ এবং দেশের জনগণের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ বাংলাদেশ নামের সাথে আমাদের স্বাধীনতার চেতনা জড়িয়ে আছে।
আফরোজা
