
জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের বাকি আর মাত্র ১৩ ঘণ্টা। ইতোমধ্যে প্রায় সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিশাল অঙ্কের বাজেটও ঘোষণা করেছে ইসি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের তথ্য মতে, এবার এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা, যা বিগত ১১ নির্বাচনের চেয়ে বেশি।
তিনি বলছেন, ভোটার সংখ্যা বাড়ায় কেন্দ্রও বেড়েছে, ‘সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যয়ও বাড়বে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতাও বেড়েছে। নির্বাচন পরিচালনা খাতে ব্যয় যেমন বেশি হচ্ছে, নিরাপত্তা ব্যয়ও বাড়ছে।’
আরও পড়ুন : নির্বাচনে আসনপ্রতি ইসির খরচ ৭ কোটি টাকার বেশি
এদিকে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান বলছেন, ‘এবার নির্বাচন উপলক্ষে গত নির্বাচনের প্রেক্ষিতে আরও ২০% গ্রোথ দিয়ে একটা বরাদ্দ দিয়ে রেখেছি। তারপরও এবার ইসির নির্দেশনায় ডিউটির সংখ্যা বেড়েছে, সময় বেড়েছে; এ কারণে ব্যয়ও বেড়ে গেছে।’
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিগত ১১ নির্বাচনের হিসাবে দেখা যায়:
প্রথম সংসদ নির্বাচন: ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৬৪২ জন ভোটারের এ নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন: ব্যয় হয় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
তৃতীয় সংসদ নির্বাচন: ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
চতুর্থ সংসদ নির্বাচন: ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন: মোট ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন: পরিচালনা বাবদ ব্যয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন: মোট ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
নবম সংসদ নির্বাচন: ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়; যাতে ভোটার ছিল ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি।
দশম সংসদ নির্বাচন: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয় ১৮৩ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। অর্ধেক এলাকায় ভোট করতে হওয়ায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ অনেক কমে আসে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তা আরো বেড়েছিল।
এম হাসান