স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বুধবার মিরপুর টেস্ট শেষ হয়েছে। পঞ্চম ও শেষদিনের শেষ বিকেলে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের বেদনায় মুহ্যমান হয়ে বসে থাকার ফুরসত নেই। বুধবার মধ্যরাতেই নিউজিল্যান্ড রওনা হয়েছেন মুমিনুল হকরা। ছুটি মঞ্জুর হওয়াতে ১৮ সদস্যের দলে নেই বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে মুমিনুলদের সঙ্গী হয়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ৩৩ বছর বয়সী ফজলে রাব্বি এর আগে সাকিবেরই বদলি হিসেবে প্রথমবার জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে সেবার ঘরের মাটিতে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচও খেলেছিলেন। ৩ বছর পর আবার জাতীয় দলে ফিরলেন এবং এবারও সাকিবের পরিবর্তে। তবে এখন টেস্ট দলে। নিউজিল্যান্ড পৌঁছে ৭ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন শেষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্ট ও ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন মুমিনুলরা। এ সিরিজটিও আইসিসি বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের অধীনে।
২০১৮ সালে ওয়ানডের মাধ্যমে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ান ফজলে রাব্বি। সাকিবের বদলি হিসেবে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই শূন্য রানে আউট হন। এরপর আর জাতীয় দলে ডাক পাননি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজেকে বেশ মেলে ধরেছেন এ টপঅর্ডার বাঁহাতি ব্যাটার। এবার জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৬০.৩০ গড়ে ৬০৩ রান করেছেন রাব্বি। আর সে কারণেই ডাক পেয়েছেন আবার। এর পাশাপাশি প্রয়োজনে বাঁহাতি স্পিনও করতে সক্ষম তিনি। আর্শ্চযজনকভাবে এবারও সাকিবের বদলি হিসেবে জাতীয় দলে ফিরেছেন। বুধবার রাত ১টায় নিউজিল্যান্ড রওনা হয়েছে বাংলাদেশ দল। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে এই সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। যদিও তাকে নিয়েই দল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে ছুটি নেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ফলে আরেকবার জাতীয় দলের দুয়ার খুলল ফজলে রাব্বির। কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতায় বাংলাদেশ দলকে আগেই যেতে হচ্ছে। ৩ দিনের আইসোলেশনসহ ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন মুমিনুলরা। এই সময়ের মধ্যে তিনটি করোনা পরীক্ষা করা হবে তাদের। এরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল। একটি নিজেদের মধ্যে এবং আরেকটি নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গত ২০ বছরে তিন ফরমেট মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচ খেলে সবই হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আছে ৯ টেস্টের সবগুলোতে পরাজয় যার মধ্যে ৫টিতেই ইনিংস হার।