ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, লড়াই করে জিততে হবে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১০ এপ্রিল ২০২১

বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, লড়াই করে জিততে হবে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে দল-মত নির্বিশেষে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি সকল শ্রেণী-পেশার সামর্থ্যবানদের সাহায্যের হাত খেটে খাওয়া মানুষ ও ভাসমান জনগোষ্ঠীর দুঃখ-কষ্টে লাঘব করতে পারে। আমাদের বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, লড়াই করে জিততে হবে। শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার নিজ সরকারী বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারীর প্রথম তরঙ্গের অভিঘাতে পরিবর্তিত পৃথিবী নগরীর নব নির্মাণ প্রক্রিয়ায় আবারও প্রচ- আঘাত হেনেছে দ্বিতীয় তরঙ্গ। প্রথম ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই সজোরে দ্বিতীয় ধাক্কা। তিনি বলেন, আবারও বিধ্বংসী পরিবর্তনের ¯্রােতে ভেসে যাচ্ছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বপ্নগুলো। লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনধারা। প্রচন্ড এক ঝড়ের কবলে পড়ে হাত-পা গুটিয়ে শুধুমাত্র নিয়তি নির্ভর হলে আমাদের চলবে না- বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, লড়াই করেই জিততে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, হতাশার কারণ নেই, কারণ এ লড়াইয়ের নেতৃত্বে আছেন সময়ের অসমসাহসী কান্ডারী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি শত বিপদ বাধা চ্যালেঞ্জের মুখেও হাল ছাড়েন না। লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হবে আজ আমাদের দেশের বহু প্রান্তিক মানুষ। সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসুন আমরা সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে দল-মত-নির্বিশেষে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়াই। সরকারের পাশাপাশি সকল শ্রেণী-পেশার সামর্থ্যবানদের সাহায্যের হাত খেটে খাওয়া মানুষ ও ভাসমান জনগোষ্ঠীর দুঃখ-কষ্টের লাঘব ঘটাতে পারে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কড়া লকডাউন ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। বেড়েছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে লন্ডনের নেতৃত্বকে খুশি করতে এবং কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে আইসোলেন থেকে হাঁক-ডাক ছাড়ছে বিএনপি। তাদের এসব হুমকি-ধমকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন সার। রাজনীতিকে বিএনপি জনগণের দ্বারপ্রান্তে থেকে তুলে এনে এখন আবাসিক রূপ দিয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনার এই সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দলের পক্ষে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে, তৃণমূলে পৌঁছে গেছে সরকারী সহায়তা। আর বিএনপি দরজা-জানালা বন্ধ করে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে আর করে যাচ্ছে কাল্পনিক অভিযোগ। যখন যে ইস্যু সামনে আসে তা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরাশ্রয়ী আন্দোলন এবং গোপন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আরোহণের দিন শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। সেটাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল শক্তি। জনগণ ভাল করেই জানে বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই দেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া। ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্মকে ঢাল বানিয়ে জনগণের সম্পদ বিনষ্টের অপচেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। এদেশের মুসলমানরা কোন অপশক্তি বা ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে তাদের ধর্ম বিশ্বাস ইজারা দেয়নি। তিনি বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী এবং উচ্চ-বিলাসী লোকের স্বপ্নপূরণে দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোন অপপ্রয়াস জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ডি-৮-এর আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ অর্জন দেশের মানুষের অর্জন এবং শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি সোনালি পালক যুক্ত হলো। এ অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতি।

আরো পড়ুন  

×