বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ—তলানিতে ঢাকা!

অর্থনীতিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (EIU) গ্লোবাল লাইভএবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী, বিশ্বের ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকা এবার ১৭১তম অবস্থানে, যা গত বছরের তুলনায় ৩ ধাপ অবনমন। ২০২৪ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৮তম, আর ২০২৩ সালে ছিল ১৬৬তম।

অর্থাৎ, বছরের পর বছর অব্যাহতভাবে ঢাকার অবস্থান নিচের দিকে নেমেই চলেছে—যা রাজধানী শহরটির দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর নগর ব্যবস্থাপনা সংকটকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের মতো হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও ঢাকার নাগরিক দুর্ভোগ কমেনি। কারণ প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি—দুষণযোগ্য বাতাস, অব্যাহত যানজট, উচ্ছ্বসিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, নাজুক স্বাস্থ্যসেবা, এবং নগর পরিকল্পনার প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতা এখনো তীব্র আকারে রয়ে গেছে।

যারা প্রতিদিন ঢাকায় বসবাস করেন, তাদের কাছে সাধারণভাবে টিকে থাকা বা বেঁচে থাকার পরিবেশও প্রতিনিয়ত সংগ্রামের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকার স্কোর (২০২৫):

EIU-এর এই বাৎসরিক সূচকে পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে শহরগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়:
স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা, এবং অবকাঠামো।

ঢাকার প্রাপ্ত স্কোরগুলো হলো:

• স্থিতিশীলতা: ৪৫.০

• স্বাস্থ্যসেবা: ৪১.৭

• সংস্কৃতি ও পরিবেশ: ৪০.৫

• শিক্ষা: ৬৬.৭

• অবকাঠামো: ২৬.৮

সর্বমোট গড় স্কোর: ৪১.৭

সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর: কোপেনহেগেন

অন্যদিকে, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন এবার শীর্ষ স্থান দখল করেছে, শেষ করেছে ভিয়েনার টানা তিন বছরের শাসন।

কোপেনহেগেনের স্কোর:

• স্থিতিশীলতা: ১০০

• অবকাঠামো: ১০০

• শিক্ষা: ১০০

• স্বাস্থ্যসেবা: ৯৫.৮

• সংস্কৃতি ও পরিবেশ: ৯৫.৪

সর্বমোট স্কোর: ৯৮.০

বৈশ্বিক চিত্র

EIU-র এই সূচকে দেখা যায়, পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলো শীর্ষস্থানগুলোতে আধিপত্য বজায় রেখেছে, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধকবলিত অঞ্চলগুলোর শহরগুলো তালিকার নিচের দিকে অবস্থান করছে।