
ভোলার লালমোহনে ১১ দিনের মাথায় নতুন বিল নিয়ে গ্রাহকের কাছে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের মক্তব বাজার এলাকায় তোপের মুখে পড়েন মিটার রিডার মাহবুব। পরে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন জানান, মক্তব বাজার এলাকার সব গ্রাহকের মে মাসের পল্লী বিদ্যুৎ বিল ইস্যু করা হয় ৩১ মে। ওই বিলের পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। অধিকাংশ গ্রাহক নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিল পরিশোধ করেছেন।
কিন্তু শুক্রবার (২৭ জুন) মিটার রিডার নতুন বিলের কাগজ নিয়ে আসেন, যার ইস্যুর তারিখ ১১ জুন এবং পরিশোধের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত। গ্রাহকরা প্রশ্ন তোলেন, ৩১ মে ইস্যু করা বিলের মাত্র ১১ দিনের মাথায় নতুন বিল কীভাবে ইস্যু হলো?
এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে মিটার রিডার মাহবুবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বাজারের দোকানদার ও গ্রাহক মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, “মে মাসে যে বিল দেওয়া হয়েছিল, ১১ দিন পর আবার জুন মাসের নতুন বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউনিট বা টাকার অংকে কোনো পরিবর্তন নেই। তাহলে একই বিল দুইবার নিচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।”
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার মোতাহার নামে এক গ্রাহক ৮৩১ টাকার বিল পান। পরে ইউনিট মেলাতে গিয়ে তিনি অসামঞ্জস্যতা পান এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তাদের ভুল স্বীকার করে ৬২১ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
এ বিষয়ে লালমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান বলেন, “পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নানা কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। যারা বুঝতে পারে তারা অফিসে গিয়ে ঠিক করিয়ে নেয়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই বুঝতে না পেরে বাড়তি বিল দিয়ে দেয়। এর সঠিক সমাধান প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “গত মাসে আমাদের স্টাফরা ঢাকায় আন্দোলনে ব্যস্ত থাকায় ঠিকমতো বিল করা সম্ভব হয়নি। তাই পূর্ববর্তী বিল সমন্বয়ের জন্য এভাবে বিল করা হয়েছে।”
মিমিয়া