
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে—রাখাইনে করিডোর দেওয়া, নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া, স্টারলিংক-এর সঙ্গে চুক্তি এবং সমরাস্ত্র কারখানার অনুমতি প্রদান।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় "সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ" ব্যানারে আয়োজিত রোডমার্চ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের হৃদপিণ্ড। এখানে যদি কোনো বিদেশি শক্তি প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়, তাহলে তা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের রোডমার্চ আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের স্বার্থবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় আগামীকাল সমাপনী সমাবেশ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রোডমার্চ কর্মসূচির চার দফা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন—
১. নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে পরিচালনা করতে হবে।
২. রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
৩. স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা এবং করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে।
৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারসহ বিগত সকল সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি প্রকাশ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক বিপ্লব, সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম বাবুল, সিপিবি সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, বাসদের সোনারগাঁ উপজেলার আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
মারিয়া