
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সৌদিপ্রবাসী এক তরুণকে আটকে রেখে মোবাইলে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মো. নাঈম হোসেন (তাজ নাঈম) নামে ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে তাকে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ১০টার দিকে আটক করা হয়।
আটক নাঈম হোসেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মো. শাহ আলমের ছেলে। তিনি মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
ভুক্তভোগী রিয়াজুল ইসলাম রণি মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঁচশতকুড়া গ্রামের খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি গত চার বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত।
থানা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে রিয়াজুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর ২৪ জুন সৌদি প্রবাসী এক আত্মীয় আল-আমিনের নম্বরে ফোন করে একটি চক্র জানায়, রিয়াজুল ইসলাম তাদের কাছে আটক রয়েছে। তাকে মুক্তি দিতে হলে ৫০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে হবে।
চক্রটি একটি বিকাশ নম্বর দেয়, যার মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠান রিয়াজুলের পরিবারের সদস্যরা। বাকি টাকা পাঠানোর জন্য কয়েক দিনের সময় চান তারা।
এ ঘটনায় রিয়াজুলের দুলাভাই মো. ইসমাইল আকন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বিকাশ নম্বরটির মালিকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে জানতে পারে, সেটি ছাত্রদল নেতা নাঈম হোসেনের ব্যবহৃত।
পরে রাতে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে দলীয় কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে পুলিশ তাকে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নাঈমকে শনাক্ত ও আটক করেছি। তবে এখনও ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে থাকা রিয়াজুলকে চক্রটি ছেড়ে দিয়েছে।”
মিমিয়া