ছবি: সংগৃহীত
স্প্যাম কল — বিরক্তিকর, সময় নষ্টকারী, আর অনেক সময় বিপজ্জনকও। আপনার ফোনে হঠাৎ অচেনা নম্বর থেকে আসা বারবার কল মানে শুধু বিরক্তি নয়, হ্যাকিং বা প্রতারণার ফাঁদেও আপনি জড়িয়ে যেতে পারেন।
ভালো খবর হলো, কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এসব কলের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন জেনে নিই কীভাবে তা করবেন:
১. ‘ডু নট কল’ (Do Not Call) তালিকায় নাম যুক্ত করুন
আমেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) পরিচালিত এই জাতীয় তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করলে অধিকাংশ বৈধ টেলিমার্কেটার আপনাকে ফোন করা থেকে বিরত থাকবে।
-
এটি একটি বিনামূল্য সার্ভিস
-
একবার নাম দিলেই এক মাসের মধ্যে আপনাকে তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে
তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই নিয়মগুলো আইন মানা সংস্থার জন্য প্রযোজ্য — প্রতারক বা অবৈধ কলারদের জন্য নয়।
২. কল ব্লকিং ফিচার বা অ্যাপ ব্যবহার করুন
প্রতারকদের ঠেকাতে স্মার্টফোনগুলো এখন অনেক ফিচার নিয়ে আসছে। আপনি চাইলে নিজেই কিছু নম্বর ব্লক করতে পারেন।
-
আইফোন: নম্বর ব্লক করার অপশন রয়েছে সেটিংসে
-
অ্যান্ড্রয়েড: Google Phone অ্যাপ ব্যবহার করলে সহজেই ব্লক করা যায়
-
এছাড়াও, “Send unknown callers to voicemail” ফিচার ব্যবহার করে অপরিচিত নম্বর সরাসরি ভয়েসমেইলে পাঠিয়ে দিতে পারেন
আরও কার্যকর চান? নিচের থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন:
-
Hiya
-
Robokiller
-
Truecaller
-
Nomorobo
এই অ্যাপগুলো ক্রাউডসোর্সড ডেটা, পরিচিত স্প্যামারদের তালিকা এবং এআই ব্যবহার করে সম্ভাব্য স্প্যাম কলগুলো আগেভাগেই ব্লক বা সতর্ক করে দেয়।
৩. ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করুন
স্প্যামাররা মূলত তথ্যের ওপর নির্ভর করে। আপনি যত বেশি ফোন নম্বর বা তথ্য অনলাইনে শেয়ার করবেন, তাদের টার্গেট হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
-
সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে ফোন নম্বর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
-
ফ্রি গিফট বা অফারের লোভে পড়ে তথ্য শেয়ার করবেন না
-
ডেটা ব্রোকার নামক প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার তথ্য কিনে বিক্রি করে — চাইলে এগুলো থেকে “Opt Out” করে দিতে পারেন
Google-এ সার্চ করুন “opt out data brokers” — আপনি বিভিন্ন সহায়ক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনাকে গাইড করবে।
অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসলে কল ধরবেন না — কল ধরলেই স্প্যামার বুঝে নেয় এটি একটি সচল নম্বর, এরপর আপনাকে বারবার টার্গেট করা হবে।
কল ধরার বদলে কলটিকে ভয়েসমেইলে যেতে দিন, পরে আপনি মেসেজ শুনে বুঝতে পারবেন তা বৈধ কিনা।
আবির
