
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ৮ মে ভোররাতে ভারতের পাঠানো ২৫টি ড্রোন পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে হামলার চেষ্টা চালায়। ড্রোনগুলোর অধিকাংশই লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর আশপাশে লক্ষ্য করেছিল। পাকিস্তান এগুলো গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে জানানো হয়েছে।
এতে ১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫ জন আহত হন। লাহোরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় ৪ জন সেনা আহত হন এবং সামান্য ক্ষতি হয়। পাকিস্তানি সেনাপ্রধান বলেন, “এটি স্পষ্টতই নগ্ন আগ্রাসন। পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত।”
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, পাকিস্তানের হামলার জবাবে তারা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থা টার্গেট করেছে, এবং লাহোরে একটি রাডার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। ভারত দাবি করছে, আগের রাতে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা করেছিল, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করেছে।
পাকিস্তানের মতে, ভারত ইসরায়েলি প্রযুক্তির ‘হারোপ ড্রোন’ ব্যবহার করেছে। এটি এক ধরনের ‘কামিকাজে’ ড্রোন, যা শত্রুর লক্ষ্যবস্তুর ওপর নিজেকে বিস্ফোরিত করে ধ্বংস করে। ভারত ২০০৯ সাল থেকে বহু হারোপ ড্রোন কিনেছে। এর পাশাপাশি ভারতের কাছে সার্চার ও হেরন ড্রোনও আছে।
এই ঘটনা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ। এর আগে, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত এর জন্য পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীদের দায়ী করে। পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। ড্রোন হামলার ফলে বেসামরিক বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে—চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ড্রোন যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বেড়ে গেলে এর পরিণতি হতে পারে বিপর্যয়কর, বিশেষ করে কারণ তারা উভয়ই পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
আরশি