আমাদের মা রহিমা খাতুন
মাকিদ হায়দার
পরাশ্রিয়া মানুষের থাকে না নিজস্বতা
এমনকি বাতাসের সাথে
পাখীদের সাথে
কথা বলবার স্বাধীনতা।
আমাদের মা রহিমা খাতুন,
তার প্রিয় পুত্রদের, বাকশক্তি এনে দিতে গিয়ে
হারিয়েছেন তার নিজ সন্তান,
এমনকি পাড়া প্রতিবেশীদের
তবু তিনি এই মাটি এই বাড়িঘর
আগলে রেখেছেন শাড়ির আঁচলে
সঙ্গে আছি আমরা কভাই
সশস্ত্র পাহারায়,
রবি, জ্যোতি
দিন গেলো তোমার কৃপায়
শুধু আমরা কভাই ভুলে বলিনি, কখনো কোনদিন
এমনকি আমাদের পাড়া প্রতিবেশী
কেউ কখনো বলিনে এলেবেলে কথা
শুধু বলি,
মায়ের স্নেহ মমতায় বুকে, পিঠে লিখে রাখি
মাতৃ, বঙ্গ ভাষা
জাগরণ
জাহিদ হায়দার
পাখি আমার প্রথম পথিক, ভোরবেলা;
কৃষক আমার প্রথম পথিক, শস্যে।
সূর্য ছিল গগনহৃদে শ্রদ্ধাভাজন।
ডানা এবং মাটির কাছে
বাঁচার কথা তৃষ্ণাবিষয়।
পাখি কিন্তু উড়ে আবার বসেছিল
সঙ্গ দিতে, গরুর পিঠে।
পথপর্বে চাষের ধ্বনি সভ্যতা।
প্লাবনপীড়িত
গোলাম কিবরিয়া পিনু
প্লাবনপীড়িত সময়ে দুঃখপীড়িত জীবনÑ
এর মধ্যে প্লেগের প্রাদুর্ভাব!
প্রণয়ের বদলে মানুষও অনুরক্ত হচ্ছে রক্তে!
নিজেকে এখন কোথায় প্রেরণ করি?
পরিপূর্ণতা এখন হিংসা ও অসূয়ায়
প্লাবনে প্লাবনে সব ভেসে যায়!
ফটিকজলও আজÑ
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে মিশে যায়!
ঠিকরিয়ে পড়ছে আজ রক্তÑ
ভুজঙ্গ দাঁড়িয়ে আছেÑ
এর মাঝে অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়ি!
পলাশ ফোটা প্রাঙ্গণে
লিলি হক
বিপ্লবী কলম
নিপুণ কালিতে
সাজায় রক্তাক্ত মাতৃভাষা
কণ্ঠে গর্জে ওঠে
বর্ণমালা।
শহীদের আত্মা আসমান
কাঁপিয়ে ঘোষণা করে
আমরা মরিনি, বেঁচে আছি
তোমাদের জন্যে
রক্তভেজা দূর্বাঘাসে,
শহীদ মিনারে, মিছিলে, আন্দোলনে।
আর তাই কবির কবিতায়, গানে
রফিক, জব্বার কথা কয় কানে কানে
‘মোদের গরব মোদের আশা
আ-মরি বাংলা ভাষা’।
এক সময় পলাশ ফোটা প্রাঙ্গণে
প্রজন্মের সাহসী সৈনিকেরা
সোচ্চার হয় শপথ বাক্য উচ্চারণে
গেয়ে উঠে সময়ের যোগ্য উত্তরসূরী
শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
শীর্ষ সংবাদ: