
ছবিঃ সংগৃহীত
তুলনামূলক বিশ্লেষণমূলক প্ল্যাটফর্ম HelloSafe-এর এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ২০২৫ সালে ভ্রমণকারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ গন্তব্য হচ্ছে সিঙ্গাপুর। অন্যদিকে, সবচেয়ে অনিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ফিলিপাইনকে—শুধু এশিয়ার নয়, বরং গোটা বিশ্বের মধ্যে।
এই গবেষণায় সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক নিরাপদ দেশ হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ নিরাপদ দেশের তালিকায় সিঙ্গাপুরই একমাত্র অ-ইউরোপীয় দেশ।
HelloSafe তাদের এই র্যাংকিং তৈরি করেছে পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে:
১. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি
২. সমাজে সহিংসতা
৩. দেশীয় বা আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতে জড়িততা
৪. স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো
৫. সামরিকীকরণের মাত্রা
প্রতিটি দেশকে সর্বোচ্চ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে একটি স্কোর প্রদান করা হয়েছে, যেখানে ০ মানে সর্বাধিক নিরাপদ এবং ১০০ মানে সবচেয়ে অনিরাপদ। সিঙ্গাপুর পেয়েছে মাত্র ১৯.৯৯ পয়েন্ট, যেখানে ফিলিপাইন পেয়েছে ৮২.৩২ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ নিরাপদ দেশ:
১. আইসল্যান্ড – ১৮.২৩
২. সিঙ্গাপুর – ১৯.৯৯
৩. ডেনমার্ক – ২০.০৫
৪. অস্ট্রিয়া – ২০.৩১
৫. সুইজারল্যান্ড – ২০.৫১
এশিয়ার আরও কিছু দেশের অবস্থান:
ভুটান – ১১তম (২২.৯৮ পয়েন্ট)
কাতার – ১২তম (২৩.৩৩ পয়েন্ট)
মালয়েশিয়া – ৩৬.৯২ পয়েন্ট (নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত)
ভিয়েতনাম – ৫১.৩৩ পয়েন্ট
থাইল্যান্ড – ৫২.৩৯ পয়েন্ট
ইন্দোনেশিয়া – ৭২.৯৪ পয়েন্ট (বিপজ্জনক শ্রেণিতে)
সবচেয়ে অনিরাপদ দেশগুলোর তালিকা:
১. ফিলিপাইন – ৮২.৩২
২. কলম্বিয়া – ৭৯.২১
৩. মেক্সিকো – ৭৮.৪২
৪. ভারত – ৭৭.৮৬
৫. রাশিয়া – ৭৫.৬৫
অবাক করার মতো, যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় ১৪তম অনিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে (৫৯.৪৭ পয়েন্ট)। অন্যদিকে, ফ্রান্স পেয়েছে তুলনামূলক খারাপ র্যাংকিং—বিশ্বে ৮০তম ও ইউরোপে ৩৪তম, যার পেছনে সন্ত্রাসবাদের স্থায়ী হুমকিকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে HelloSafe স্পষ্ট করেছে যে, এই সূচক শুধুমাত্র নিরাপত্তার মানদণ্ডে তৈরি, পর্যটন আকর্ষণ বিবেচনায় নয়। গবেষণাটিকে “অবজেকটিভ ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে একটি গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনডেক্স” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
নোভা