
সংগৃহীত
প্রেম, বিয়ে, সংসার—এই তিন শব্দ একসময় ছিল জীবনের স্বপ্ন। অথচ আজ সেই স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে অবলীলায়। ঢাকায় এখন প্রতি ৪০ মিনিটে একটি করে তালাক হচ্ছে! নতুন পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীর তরুণ প্রজন্মের সংসার যেন ভেঙে পড়ছে মোবাইলের স্ক্রিন, ইগো আর মানসিক চাপের ভারে।
অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান তথ্য যা জানলে শিউরে উঠবেন!
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই তালাক হয়েছে ২,২০০টিরও বেশি। গড়ে প্রতি ৪০ মিনিটে একটি করে তালাক।
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো—এই তালাকগুলোর বেশিরভাগ ঘটছে ২০–৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে, যারা এক সময়ের ‘ড্রিম কাপল’।
তালাকের কারণ কী?
- তালাক চাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নারীরা উল্লেখ করেছেন:
- অবহেলা ও মানসিক নির্যাতন
- স্বামীর পরকীয়া বা সন্দেহজনক আচরণ
- পারিবারিক দমন-পীড়ন ও শ্বশুরবাড়ির অসহযোগিতা
বিশেষজ্ঞদের অভিমত: সম্পর্কের সহনশীলতা হারিয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন:“ট্রেন্ডটা ভয়াবহ। একদিকে নারীরা এখন অনেক সচেতন ও স্বাধীন, কিন্তু একই সঙ্গে কমে গেছে সহনশীলতা। মোবাইল আসক্তি, ইগো, ফেইসবুকের ‘আদর্শ সম্পর্ক’ দেখে বাস্তব জীবনে অতৃপ্তি তৈরি হচ্ছে।”
সোশ্যাল মিডিয়া কি দায়ী?
বর্তমান তালাক ট্রেন্ডের পেছনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ:
- TikTok ও Instagram–এ "রিল লাইফ" দেখে রিয়েল লাইফের প্রতি বিরক্তি
- গোপন মেসেজিং এবং "ফলোয়ার কমিউনিকেশন" নিয়ে সন্দেহ
- ঘরে থেকেও ‘ঘরের বাইরের’ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকা!
নারীরাই কেন তালাক বেশি দিচ্ছেন?
পরিসংখ্যান বলছে, তালাকের আবেদন দিচ্ছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে:
- স্বামীর দায়িত্বহীনতা
- পারিবারিক সম্মানহানিকর ব্যবহার
- আত্মসম্মানবোধ ও নিজের জন্য বাঁচার সিদ্ধান্ত
বিয়ে এখন আর ‘আজীবনের বন্ধন’ নয়, অনেকের কাছে এটা যেন একটি চুক্তি মাত্র!
একটু সমস্যা হলেই ‘তালাক’ যেন সহজ রাস্তা কিন্তু এই তালাক ঝড়ের পর ভাঙনের শব্দটা দীর্ঘস্থায়ী। প্রশ্ন হচ্ছে তালাক ঠেকাতে আমাদের করণীয় কী? সমাজ কি শুধু চোখ বুজে চলবে, নাকি পরিবার, শিক্ষা ও প্রযুক্তি নিয়ে নতুনভাবে ভাববে?
হ্যাপী