দুপুরের খাবারের পর একটু ঝিমুনি অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। অনেকেই সময় পেলেই তখন একটু ঘুমিয়ে নেন। কিন্তু জানেন কি, এই ছোট্ট ‘দুপুরের ঘুম’ শরীর-মন উভয়ের জন্য কতটা উপকারী? চলুন জেনে নিই, দুপুরে খাবারের পরে কিছুক্ষণ ঘুমালে আমাদের শরীরে কী ঘটে।
সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষে দূর হয়
দুপুরে একটুখানি ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। সকালের ব্যস্ত সময়ের পর শরীর ও মস্তিষ্ক কিছুটা বিশ্রাম চায়। মাত্র ১৫-৩০ মিনিটের একপলকের ঘুমই আপনার শরীরকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে পারে। যারা অফিস বা ক্লান্তিকর কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকর।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরের ঘুম ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এটি সহায়তা করে। যারা পড়াশোনা করেন বা মেমোরি নির্ভর কাজে যুক্ত, তাদের জন্য এই ঘুম হতে পারে কার্যকর এক ‘মেমোরি বুস্টার’।
স্ট্রেস ও মানসিক চাপ কমায়
চাপ ও উদ্বেগে জর্জরিত জীবনে কিছুক্ষণের ঘুম মানসিক প্রশান্তি আনে। এটি কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে মানসিক চাপ হ্রাস পায়। দুপুরের একটুখানি ঘুম আমাদের মনকে শান্ত ও প্রফুল্ল করে।
শরীর চাঙ্গা থাকে
দুপুরের খাবার হজম হওয়ার পর শরীরে একটু ভারভাব আসা স্বাভাবিক। তখন ২০ মিনিটের বিশ্রাম বা হালকা ঘুম হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে চনমনে রাখে। এটি বিকেলের কাজের জন্য আপনাকে নতুন করে প্রস্তুত করে তোলে।
তবে সাবধান!
দুপুরে ঘুম অবশ্যই সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত। দীর্ঘসময় ঘুমালে ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ বা ঘুম-ঝিমুনি অনুভব হতে পারে, যা বরং উল্টো ক্লান্তি সৃষ্টি করে। সেরা ফলাফল পেতে চেষ্টা করুন ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম শেষ করতে।
দুপুরের খাওয়ার পর একটুখানি ঘুম যেন আপনার শরীর ও মনের জন্য হয় এক প্রাকৃতিক টনিক। এটা শুধু ক্লান্তি দূর করে না, বরং কাজের দক্ষতা, মনোযোগ এবং মানসিক প্রশান্তিও বাড়ায়। তাই সময় পেলেই একটা ছোট্ট ঘুম, আপনার জীবনে আনতে পারে বড় পরিবর্তন।
রাজু
