
ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর যাত্রায় সবার আগে যেটা দরকার তা হলো—সঠিক অভ্যাস গড়া এবং ভুলগুলো এড়িয়ে চলা। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ওজন কমানো কোচ মেলিসা, যিনি নিজেই চল্লিশ বছর বয়সে শরীর ছিপছিপে করেছেন, সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন এমন ৬টি সাধারণ ভুলের কথা, যেগুলো করলে শরীর চাইলেও মেদ ঝরাতে পারবে না।
জুনের ১৩ তারিখে শেয়ার করা এক পোস্টে মেলিসা লেখেন, “আপনি হয়তো স্বাস্থ্যকর খাচ্ছেন মনে করছেন, কিন্তু তবুও যদি ওজন না কমে, তাহলে এসব ভুলই হতে পারে কারণ।”
চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমানোর যাত্রায় সবচেয়ে সাধারণ ৬টি ভুল:
১. বেশি খাওয়া।
মেলিসা বলেন, “অনেকেই ভাবেন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে যত খুশি খাওয়া যায়। কিন্তু অজান্তেই অতিরিক্ত ক্যালোরি চলে আসে—যেমন মুঠো মুঠো পেকান বাদাম খাওয়া। সস আর ড্রেসিংয়ে লুকিয়ে থাকে প্রচুর ক্যালোরি। এক ক্লায়েন্টের খাবারের তালিকায় ১০০০ ক্যালোরির সালাদ দেখেছি!”
২. পানীয় থেকে ক্যালোরি গ্রহণ।
সকালবেলার লাটে, এনার্জি ড্রিংক, অ্যালকোহল কিংবা তথাকথিত ‘হেলদি’ মিল রিপ্লেসমেন্ট শেক—এসবেই লুকিয়ে থাকে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ক্যালোরি। মেলিসা বলেন, “চিবিয়ে খেলে শরীর বেশি ক্যালোরি খরচ করে এবং ব্রেন বুঝতে পারে আপনি খেয়েছেন, তাই দ্রুত আবার ক্ষুধা লাগে না।”
৩. যথেষ্ট প্রোটিন না খাওয়া।
প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, হজমে ক্যালোরি বার্ন করে, মেটাবলিজম বাড়ায়—ফলে সার্বিকভাবে ক্যালোরি খরচ বাড়ে। পর্যাপ্ত প্রোটিন না খেলে ওজন কমানোর গতি থেমে যেতে পারে।
৪. স্ট্রেস, ঘুম এবং বিশ্রামের অভাব।
মেলিসা বলেন, “অনেকেই এ তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চাপ, ঘুমের ঘাটতি এবং বিশ্রামের অভাবে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমে যায়। এর ফলে শরীর মেদ জমায় এবং ফ্যাট বার্নের জন্য প্রয়োজনীয় রিকভারি পায় না।” এছাড়া, চাপ ও কম ঘুম ক্ষুধা বাড়ায়।
৫. পানি কম পান করা।
“শরীরের সব বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য পানি দরকার,” বলেন মেলিসা। পানি কম খেলে মেটাবলিজম ধীর হয়, শরীরের বর্জ্য পরিষ্কার হতে দেরি হয় এবং অনেক সময় মনে হয় ক্ষুধা পেয়েছে, কিন্তু আসলে শরীর পানি চাইছে।
৬. অতিরিক্ত কার্ডিও।
মেলিসা জানান, প্রতিদিন উচ্চমাত্রার কার্ডিও করলে কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে, শরীরে প্রদাহ তৈরি হয় এবং ক্লান্তি চলে আসে। রিকভারি বা বিশ্রামের অভাবে শরীর ফ্যাট বার্ন করতে পারে না।
সবশেষে মেলিসা বলেন, “যখন আপনি ফ্যাট বার্নিং-এর বৈজ্ঞানিক দিকগুলো বুঝতে শিখবেন, তখন আপনি সময় নষ্ট না করে যা সত্যিই কাজ করে সেটায় মনোযোগ দিতে পারবেন।”
দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে প্রকাশিত এবং এটি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। কোনো শারীরিক সমস্যা বা চিকিৎসা প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সূত্র: https://short-link.me/10MRB
মিরাজ খান