
ছবি: সংগৃহীত
আমরা অনেক সময় আমাদের কাজের জায়গায় এতটাই সময় কাটাই যে, পরিবার পরিজনের মতোই সহকর্মীরাও আমাদের আপনজন হয়ে ওঠেন। তাই অফিস হয়ে ওঠে আমাদের ‘সেকেন্ড হোম’। তাই কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন থাকবে, সেটা আমাদের সবাইকে ভাবা উচিত।
কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে সদয় ও ভদ্র আচরণ বজায় রাখা জরুরি। কারো পোশাক, ব্যক্তিগত জীবন বা অন্য ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চালানো অশোভনীয়। ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা যতটা সম্ভব এড়ানোই ভালো।
যদি সহকর্মীর কোনো আচরণে কষ্ট বা বিরক্তি হয়, তাহলে সরাসরি তার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না দেওয়াই উত্তম, কারণ তা শিশুসুলভ আচরণ বলে মনে হতে পারে। কথা বলেও সমস্যা সমাধান না হলে তারপর কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিন, তবে অভিযোগের বদলে সমস্যার বিস্তারিত জানিয়ে সমাধান চান।
এই ধরনের বিষয় যতটা সম্ভব এড়ানোই ভালো, কারণ সম্পর্ক ভেঙে গেলে একই কর্মক্ষেত্রে কাজ করা দুজনের জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে।
ছুটির দিনে যতটা সম্ভব সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ফোন করা বা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা পাঠানো তাদের ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের বিরক্তও করতে পারে।
কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালে কেউ ফোন চালাচ্ছেন বা কাজ বাদ দিয়ে গেম খেলছেন, তা লক্ষ্য করলে মনোযোগ দিন, তবে সেটা বড় বিষয় করে তোলার দরকার নেই। কারো কাজ বা আচরণ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না, নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিন।
সবশেষে, কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচকতা যেন আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলে না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি কখনও হতাশ অনুভব করেন, তা মোকাবেলা করার জন্য কিছু কৌশল আয়ত্ত করুন — যেমন হেডফোনে গান শোনা, একটু হাঁটাহাঁটি করা, কিংবা একটি কাপ চা বা কফি নিয়ে বারান্দায় বা ক্যাফেটেরিয়ায় বসে নিজেকে সামলানো।
এভাবেই অফিসে ভালো পরিবেশ গড়ে তুলুন, আর কাজে ভালো ফলাফল পান।
ফরিদ