মায়েদের জীবনে নতুন ছন্দ আনবে সকালে খাওয়া এই ৫ উপাদানে তৈরি স্মুদি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মা শরীরিকভাবে দুর্বলতা, জয়েন্টে ব্যথা ও সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন। তবে ফিটনেস কোচ নবনীত রামপ্রসাদ মনে করেন, এক গ্লাস স্বাস্থ্যকর স্মুদি প্রতিদিন সকালে পান করলে এই সমস্যাগুলোর অনেকটাই প্রতিকার সম্ভব। ২৮ মে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ৫০-এর বেশি বয়সী মায়েদের জন্য একটি শক্তি-সমৃদ্ধ স্মুদি রেসিপি শেয়ার করেন।

নবনীত বলেন, “আপনি যদি চান আপনার মা ৫০-এর পরও ব্যথামুক্ত ও এনার্জিতে ভরপুর থাকুক, তাহলে তাকে প্রতিদিন এই পাঁচটি উপাদান খাওয়ান। আলাদা করে পরিবেশন করতে হবে না, বরং একসাথে ব্লেন্ড করে দিন সকালবেলায়, এমনকি কফির আগেই।”

স্মুদির উপাদান ও উপকারিতা:

১. ফ্রোজেন কলা:
শক্তি জোগায়, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামে ভরপুর। মাংসপেশি মেরামত, শরীর হাইড্রেট রাখা ও লেগ ক্র্যাম্প কমাতে সহায়ক।

২. খেজুর:
প্রাকৃতিক মাল্টিভিটামিন। আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ। দিনে মাত্র দুটি খেজুর চিনি খাওয়ার ইচ্ছা কমায় ও এনার্জি ধরে রাখে।

৩. গ্রিক দই:
রাতের ঘুমের পর পেশি গঠনে সহায়তা করে। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে, গ্যাস ও ফোলাভাব কমায় এবং ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে।

৪. দারুচিনি:
এক চিমটিই যথেষ্ট। জয়েন্ট ও মাসল ইনফ্ল্যামেশন কমায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে মুড ও এনার্জি থাকে স্থিতিশীল।

৫. প্রোটিন পাউডার:
সম্পূর্ণ প্রোটিনের চমৎকার উৎস। পেশি ধরে রাখতে, দ্রুত ক্লান্তি কাটাতে ও রিকভারিতে সহায়ক।

সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে সকালে ফ্রেশ স্মুদি হিসেবে পরিবেশন করলেই পাওয়া যাবে ফল।

এই স্মুদি প্রসঙ্গে এইচটি লাইফস্টাইলকে সিনিয়র অবস্টেট্রিকস ও গাইনোকোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. সুধা আস্থান বলেন, “এই স্মুদি একটি ব্যালান্সড ড্রিংক, যা পোস্ট-মেনোপজাল নারীদের জন্য খুবই উপকারী। ৫০-এর পর হরমোন পরিবর্তনের ফলে হাড় ক্ষয়, বিপাক ধীর হয়ে যাওয়া ও পেশির ঘাটতি দেখা দেয়। দইয়ের ক্যালসিয়াম, কলার পটাসিয়াম ও উচ্চ মানের প্রোটিন এই সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। দারুচিনির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো—এটি সহজে তৈরি করা যায় এবং এমন অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে যা অনেক নারীর খাদ্যতালিকায় অনুপস্থিত থাকে।”

সূত্র: https://l8.nu/-rML