ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বন্ধুত্বের নামে বিষ! যে ১০ ধরনের বন্ধুকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন মনোবিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ১৯:০২, ৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৩, ৮ মার্চ ২০২৫

বন্ধুত্বের নামে বিষ! যে ১০ ধরনের বন্ধুকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন মনোবিজ্ঞানীরা

ছবি: সংগৃহীত।

বন্ধুত্ব জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলেও সব বন্ধুই কিন্তু ইতিবাচক প্রভাব ফেলেন না। বরং কিছু বন্ধুর কারণে মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে। মনোবিজ্ঞানের মতে, কিছু মানুষ আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাই শ্রেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ১০ ধরনের বন্ধুর কথা, যাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১) এনার্জি ভ্যাম্পায়ার

এরা এমন এক ধরনের বন্ধু, যাদের সঙ্গে সামান্য কথোপকথনের পরই ক্লান্ত অনুভব হয়। এনার্জি ভ্যাম্পায়াররা সবসময় আবেগগত সহায়তা চান, কিন্তু আপনাকে কখনোই সহায়তা করেন না। এদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা মানসিক ক্লান্তি ডেকে আনতে পারে।

২) চিরকালীন হতাশাবাদী

সবকিছুর মধ্যেই নেতিবাচক দিক খোঁজার প্রবণতা থাকে এই ধরনের বন্ধুদের। তাদের সঙ্গে সময় কাটালে আপনার মনোভাবও নেতিবাচক হয়ে যেতে পারে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

৩) নার্সিসিস্টিক বন্ধু

এরা আত্মকেন্দ্রিক ও সবসময় নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। তাদের কাছে অন্যদের অনুভূতির কোনো মূল্য নেই। এই ধরনের বন্ধুত্ব একপেশে হয়ে পড়ে, যেখানে আপনার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষিত হয়।

৪) অতিরিক্ত সমালোচনামূলক বন্ধু

গঠনমূলক সমালোচনা ভালো, তবে কেউ যদি আপনাকে সবসময় ছোট করার চেষ্টা করে, তবে তা বন্ধুত্বের জন্য ক্ষতিকর। এমন বন্ধুরা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।

৫) ঈর্ষাকাতর বন্ধু

যে বন্ধু আপনার সাফল্যে আনন্দিত না হয়ে বরং ঈর্ষান্বিত হয় এবং আপনাকে ছোট করে দেখতে চায়, সে আসলে প্রকৃত বন্ধু নয়। বন্ধুত্বের ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও উদযাপন।

৬) স্বার্থপর বন্ধু

এরা শুধুমাত্র ভালো সময়ে পাশে থাকে, কিন্তু আপনি বিপদে পড়লে উধাও হয়ে যায়। কঠিন সময়ে পাশে থাকার মতো বন্ধুদেরই মূল্য দেওয়া উচিত।

৭) মিথ্যাবাদী বন্ধু

বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি। কিন্তু যদি কেউ ক্রমাগত মিথ্যা বলে এবং আপনাকে বিভ্রান্ত করে, তবে সেই বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়াই ভালো।

৮) অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী বন্ধু

অবশ্যই উচ্চাভিলাষ ভালো, তবে যদি কোনো বন্ধু সবসময় আপনাকে তাদের সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করে, তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার আছে।

৯) দোষ চাপানোর অভ্যাস

কেউ যদি আপনাকে সবসময় দোষী অনুভব করানোর চেষ্টা করে এবং আবেগগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তবে তা একটি নেতিবাচক বন্ধুত্বের লক্ষণ।

১০) স্থবির বন্ধু

জীবনে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু বন্ধু সবসময় একই জায়গায় আটকে থাকে এবং আপনাকেও আটকে রাখার চেষ্টা করে। এমন মানুষের সংস্পর্শে থাকলে আপনার ব্যক্তিগত উন্নতি ব্যাহত হতে পারে।

বন্ধুত্ব অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সঠিক বন্ধুর সঙ্গে থাকাটাই মূল চাবিকাঠি। যদি কোনো সম্পর্ক বারবার আপনাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে তা থেকে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। আপনি এমন বন্ধুদেরই প্রাপ্য, যারা আপনাকে শ্রদ্ধা করবে, অনুপ্রেরণা দেবে এবং প্রকৃত বন্ধুত্বের মান বজায় রাখবে।

সায়মা ইসলাম

×