ছবি : সংগৃহীত
ডাল, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু স্বাদের পরিবর্তনই আনে না, বরং শরীরের জন্য একাধিক উপকারী উপাদানও সরবরাহ করে। ডালে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের নানা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। তবে, আপনি জানেন কি, কোন অসুখের জন্য কী ধরনের ডাল খাওয়া উচিত? বিভিন্ন অসুখের জন্য আলাদা আলাদা ডাল খাওয়া শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। চলুন, আজ আমরা জানব কোন রোগের জন্য কী ডাল খাওয়া উচিত।
১. হৃদরোগের জন্য: মুসুর ডাল
হৃদরোগের রোগীরা সাধারণত খাবারে অল্প ফ্যাট, উচ্চ ফাইবার, এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পরামর্শ পান। মুসুর ডাল এই সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে থাকে। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. ডায়াবেটিসের জন্য: মুগ ডাল
মুগ ডাল গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম, যা রক্তে শর্করার স্তরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. হজম সমস্যা: তুর ডাল
তুর ডাল হজমে সহায়ক এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ হজম সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যাকে প্রশমিত করে। এটি পাকস্থলীর সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য তুর ডাল উপকারী হতে পারে।
৪. অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা): চানা ডাল
চানা ডালে উচ্চমাত্রায় আয়রন থাকে, যা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগের জন্য বেশ উপকারী। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে এবং শরীরে আয়রনের অভাব পূর্ণ করে।
৫. সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা: কালো মসুর ডাল
কালো মসুর ডালে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে ঠাণ্ডা সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
ডাল খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে রোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে। তাই, নিজের শারীরিক অবস্থার অনুযায়ী সঠিক ডাল নির্বাচন করে খাওয়া শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
নুসরাত
