ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

পেইনকিলার নয়, হাঁটু ব্যথা কমান ঘরোয়া উপায়ে!

প্রকাশিত: ২১:১১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:৩৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

পেইনকিলার নয়, হাঁটু ব্যথা কমান ঘরোয়া উপায়ে!

একটা সময় ছিল, যখন বয়স ৫০-এর গণ্ডি না পেরলে হাঁটু ব্যথার মতো সমস্যা বিরক্ত করত না। তবে সেসব দিন আজ অতীত। তাই তো বর্তমানে বয়স মাত্র ৩০ পেরলেই সঙ্গী হচ্ছে হাঁটু ব্যথার মতো সমস্যা। আর একবার এই সমস্যার ফাঁদে পড়লেই বেশিরভাগ রোগী পেইনকিলারের উপর ভরসা রাখছেন। যার ফলে বিপদ আরও বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এসব ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোনও মতেই পেইনকিলার খাওয়া চলবে না। তার বদলে বরং ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানের উপর। তাতেই ব্যথা চলে যাবে।

ওজন কমান​

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন বেশি থাকলে হাঁটুর উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। আর সেই সুবাদে এই জয়েন্টে প্রদাহ হয়। যার ফলে পিছু নেয় অসহ্য ব্যথা। তাই এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন।সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া ছাড়ুন। তার বদলে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খান। থালায় রাখুন ফল, শাক ও সবজি। সেই সঙ্গে দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম।

​ঠান্ডা-গরম সেক দিন​

হুট করে হাঁটু ব্যথা বাড়লে ঠান্ডা-গরম সেকে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রথম ৫ মিনিট ঠান্ডা সেক দিন। তারপর ৫ মিনিট দিন গরম সেক। এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠান্ডা-গরম সেক দিলে কিন্তু খুব সহজেই জয়েন্টের প্রদাহ প্রশমিত হবে। আর সেই সুবাদে কমে যাবে ব্যথা-যন্ত্রণা। এমনকী নিয়মিত সেক দিলে হাঁটুর ফোলাভাবও কমবে। তাই আজ থেকেই রোজ দিনে দুইবার এই নিয়মে হাঁটুতে সেক দেওয়া শুরু করুন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​আদার শরণাপন্ন হন​

এই পরিচিত ভেষজ কিন্তু ব্যথা কমানোর কাজে অনেক অবদান। কারণ এতে রয়েছে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান প্রদাহ এবং ব্যথা-বেদনা কমাতে পারে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীদের আদার শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। কী ভাবে সেবন করবেন? আদার কুচি সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন। কিংবা সমপরিমাণ আদা জল দিয়ে গিলে নিন। এর পাশাপাশি আদার পেস্ট বানিয়ে তা ব্যথা জায়গাতে লাগাতেও পারেন। ব্যস, এই কাজটা সেরে ফেললেই কমে যাবে ব্যথা।

​ব্যায়াম

এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে চাইলে শুয়ে-বসে দিন কাটালে চলবে না। তার পরিবর্তে একটু-আধটু হাঁটুর ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো কয়েকটি সহজ-সরল হাঁটুর ব্যায়াম শুরু করুন। তাতেই উপকার পাবেন। তবে অনেকেরই ব্যায়ামে অনীহা থাকে। তাই তাঁরা চাইলে নিয়মিত হাঁটুন বা সাঁতার কাটুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই দুই এরোবিক এক্সারসাইজ করলেও কিন্তু খুব সহজেই হাঁটুর ব্যথা কমানো সম্ভব।​চিকিৎসকের পরামর্শ নিন​

এসব ঘরোয়া উপাদানে ব্যবহারের পরও হাঁটু ব্যথা না কমলে, কিংবা দিন দিন ব্যথা বাড়তে থাকলে, যন্ত্রণার জন্য সামান্য হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হলে– অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর কথা মতো কয়েকটি টেস্ট করুন। তারপর তিনি যেসব ওষুধ দেবেন, সেগুলি খেয়ে যান। এমনকী তাঁর পরামর্শ মতো জীবনযাত্রায় আনুন বদল। হলফ করে বলতে পারি, এই কাজটা সেরে ফেললেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

 

রাজু

×