ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

যে ধরনের মানুষকে কখনোই বিশ্বাস করা যায় না

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

যে ধরনের মানুষকে কখনোই বিশ্বাস করা যায় না

ছবি: প্রতীকী

বিশ্বাস একটি সম্পর্কের মূলভিত্তি। তবে সব মানুষ বিশ্বাসের যোগ্য নয়। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন—বন্ধুত্ব, কর্মক্ষেত্র বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ থাকেন, যারা আমাদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করতে পারেন।

মনোবিজ্ঞান বলছে, কিছু স্পষ্ট বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আমরা এমন মানুষদের চিহ্নিত করতে পারি, যারা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে পারলে প্রতারণা বা ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। নিচে এমন ৮টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো, যা বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব নির্দেশ করে।

তারা অস্থির স্বভাবের
কথা বা আচরণে অস্থিরতা বিশ্বাসযোগ্যতার বড় শত্রু। কেউ যদি বারবার নিজের গল্প পরিবর্তন করে বা পরিবেশ অনুযায়ী নিজের আচরণ পাল্টায়, তবে এটি একটি বড় সতর্কসংকেত। এ ধরনের ব্যক্তি সাধারণত সৎ নয় এবং তাদের ওপর নির্ভর করা কঠিন।

তারা চোখে চোখ রেখে কথা বলে না
চোখে চোখ রেখে কথা বলাটা আত্মবিশ্বাস এবং সততার পরিচায়ক। যারা এটি এড়িয়ে চলে, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকে। গবেষণা বলছে, যারা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না, তারা অনেক সময় সত্য লুকানোর চেষ্টা করে।

তারা সবসময় দোষ অন্যের ওপর চাপায়
নিজের ভুল স্বীকার না করে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর প্রবণতা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। এটি মনোবিজ্ঞানে "প্রজেকশন" নামে পরিচিত। যারা এমন আচরণ করে, তারা সাধারণত তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে।

তারা অতিরিক্ত গোপনীয়তা পছন্দ করে
নিজস্ব গোপনীয়তা থাকা স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত গোপনীয়তার আশ্রয় নেয় বা নিরীহ প্রশ্নের জবাবে বিরক্ত হয়, তবে এটি সন্দেহজনক। খোলামেলা ও স্বচ্ছতা বিশ্বাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তারা বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে
প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা বিশ্বাসের ভিত্তিকে ধ্বংস করে। যারা বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং এর জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করে না, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তারা অতিরিক্ত পরচর্চা করে
অন্যদের গোপন কথা বা ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে অতিরিক্ত পরচর্চা করা একটি বড় সতর্কসংকেত। যারা অন্যদের বিষয়ে গসিপ করে, তাদের নিজের সম্পর্কে গোপন তথ্য শেয়ার করা বিপজ্জনক হতে পারে।

তারা সহানুভূতি দেখায় না
সহানুভূতি বিশ্বাসযোগ্যতার অন্যতম ভিত্তি। কেউ যদি অন্যের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা না করে বা সহানুভূতিহীন আচরণ করে, তবে এটি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব নির্দেশ করে।

তাদের অতীতে প্রতারণার ইতিহাস রয়েছে
যাদের অতীতে বারবার মিথ্যা বলা, প্রতারণা বা ধোঁকা দেওয়ার ঘটনা রয়েছে, তাদের ওপর সহজে বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিশ্বাস অর্জন সময়সাপেক্ষ এবং প্রতারণার ইতিহাস থাকা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে সেই বিশ্বাসের যোগ্য নাও হতে পারে।

বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণ করা অনেক সময় জটিল হতে পারে। তবে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি এবং সচেতন মন এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে। মনোবিজ্ঞান বলছে, আমাদের অবচেতন মন এমন অনেক সংকেত ধরে ফেলে, যা সচেতনভাবে ধরা পড়ে না। তাই কোনো ব্যক্তিকে বিশ্বাস করার আগে নিজের অনুভূতির ওপরও আস্থা রাখা জরুরি।

এম.কে.

×