ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

সামার টপস

প্রকাশিত: ২০:২৯, ১ মার্চ ২০২১

সামার টপস

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চমকে উঠল সিমিন। দশটায় ক্লাস শুরু, অলরেডি নয়টা বেজে গেছে। তাড়াহুড়া করে প্রস্তুত হতে থাকে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য। বিপত্তি ঘটে ড্রেস পরা নিয়ে। কি পরে যাবে ভার্সিটিতে? এ নিয়ে যেন নাভিশ্বাস অবস্থা। বড় বোনের শরণাপন্ন হতেই ভাল একটা সাজেশন পেয়ে যায় সিমিন। কথামতো গ্যাভার্ডিন চুজ এবং হালকা রঙের টপ্স পরে রওনা হয় ভার্সিটিতে। এক ধরনের প্রশান্তি যেন খেলে যায় সিমিনের মনে। তাছাড়া আবহাওয়া অনুযায়ী কম্ফর্টেবল ড্রেস পরলে এমনিতেই ভাল লাগে। ষড়ঋতুর কারণেই আমাদের এই দেশটা অনেক সুন্দর। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালেই রূপ বদলায়। আর এ রূপের পরশ একেক ঋতুতে একেক রকম। শুষ্ক হাওয়া এবং তপ্ত রোদ নিয়ে প্রকৃতিতে বইছে ফাল্গুন- চৈত্রের দাবানল। বাড়ছে গরমের মাত্রা। পরিবর্তিত হচ্ছে জীবনযাত্রা। এ পরিবর্তনের বড় একটা অংশ হচ্ছে পোশাক। কারণ আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পোশাক না পরলে এক ধরনের অস্বস্তি বোধ হয়। যা কাজ কর্মে বাধা সৃষ্টি করে। দিন দিন আমাদের সমাজে ফ্যাশন সচেতন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে প্রত্যেকেই আবহাওয়া অনুকূল পোশাকের সন্ধান করে। ফ্যাশন হাউসগুলোও যেন বসে নেই। প্রতিনিয়ত ক্রেতা সাধারণের কথা মাথায় রেখে ঋতুভিত্তিক পোশাক তারা বাজারে এনে থাকে। এই গরমে হাল্কা কাপড় এবং রঙের পোশাকই সবার পছন্দ। যে পোশাকটি পরে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যায় সে পোশাকের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। টপস্ তেমনি একটা পোশাক। বাঙালী নারীদের ক্ষেত্রে বারো হাত শাড়ির কথাটি প্রযোজ্য হলেও, বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে নিত্য নতুন অনেক ধরনের পোশাক। টপস্ তেমনি একটি জনপ্রিয় পোশাক। বিশেষ করে কলেজ ভার্সিটির ছাত্রীদের কাছে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে বিশ্ব যেমন এগিয়েছে তেমনি এগিয়েছে ফ্যাশন ট্রেন্ড। লেগেছে যুগের হাওয়া। পশ্চিমা বিশ্বের হাওয়া বললেও ভুল হবে না। যদিও টপস্ এখন দেশীও ট্রেন্ডে বেশ মানানসই। বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে দেখা মিলবে নানা রঙের টপস্। তপ্ত এ আবহাওয়ায় টপস্ বেশ সময়োপযোগী এক পোশাক। বিশেষ করে তরুণীদের আগ্রহ বাড়ছে টপসের প্রতি। যে কারণে চাহিদাও তুঙ্গে। এ প্রসঙ্গে ডিজাইনার শামীম রুবাইয়াত জানান ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা পোশাক ডিজাইন এবং প্রস্তুত করে থাকি। বর্তমানে কলেজ ভার্সিটিতে যাওয়া তরুণীদের মধ্যে টপসের প্রতি আগ্রহ শতকরা ৭০ জনের। যার ফলে অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি টপসের প্রতি নিতে হচ্ছে বাড়তি যত্ন। তাছাড়া এ আবহাওয়ায় বেশ মানানসই একটি পোশাক টপস্। স্থান কাল পাত্রভেদে ডিজাইন করে থাকি টপসের। যেমন ভার্সিটিতে যে টপসটি মানানসই পার্টিতে সে টপসটি মানানসই নয়। আবার বন্ধুদের আড্ডায় আরেক ধরনের টপস্ ডিমান্ড করে। যে কারণে চাহিদানুযায়ী ও স্থান কাল পাত্রভেদে ডিজাইন করতে হয় টপস্। বিশ্ব দ্রুত বদলাচ্ছে, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে ফ্যাশন ট্রেন্ড। এই পরিবর্তনের হাওয়ায় বদলে যায় ডিজাইন এবং প্যাটার্ন। চলতি আবহাওয়ায় কাপড় সিলেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সুতি, তাঁত, এন্ডি কটনকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ টপসই হাফ সিøভ। কিছু সিøভলেস টপসও রয়েছে তালিকায়। ডিজাইনের ক্ষেত্রে সিম্পল ডিজাইনকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। গলার কাছে এবং হাতায় কিছু কাজ করা হয়েছে। তবে হাল্কা হলেও ডিজাইনগুলো বেশ আকর্ষণীয়। হাতের কাজ, কারচুপি, ব্লক এবং এপ্লিকের কাজকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ডিজাইনের ক্ষেত্রে। কাপড়ের রঙের ক্ষেত্রে সাদা, অফ হোয়াইট, হাল্কা গোলাপী, বাদামী, হাল্কা লাল ও আকাশী রঙকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এবারের টপসগুলোর ডিজাইন এবং কালার ভেরিয়েশন লক্ষণীয়। নেটের কিছু টপস্ রয়েছে যার নিচে ফলস দিয়ে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। দামও খুব বেশি না। ক্যাজুয়াল টপসগুলো পড়বে ৪৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকা। পার্টি টপস্ ৬৫০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। এক্সক্লুসিভ টপস্ ৮৫০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা। জিন্স কিংবা গ্যাভার্ডিন যে কোনটির সঙ্গেই টপস্ মানানসই। ব্যস্ত নগরে নারীদের পদচারণায় মুখর। সময় ছুটে চলছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটে চলার ইজি এক ড্রেস টপস্। দিন যত গড়াচ্ছে ততই জনপ্রিয় পোশাকের তালিকায় ঠাঁয় করে নিয়েছে টপস্। পোশাক ও ছবি : লারিভ
×