তারুণ্য মানে স্বপ্নর চাইতেও দুর্বার। নতুন প্রজন্মের জন্য আলোর দিশারী। আর যদি হয় ভ্রমণপিপাসু তারুণ্যের দল, তা হলে তারা আরও একটু বেশিই হয় উদ্যমি, উচ্ছল, উচ্ছ্বসিত। থাকে তাদের জগতটাকে ঘুরে ঘুরে দেখার আপ্রাণ চেষ্টা। তবে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি চাই সামাজিক দায়বদ্বতা। আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরণী-অনুসরণীয় কিছু করতে পারা।
ভবিষ্যতপ্রজম্ম বুক ভরা নিঃশ্বাস নিয়ে যেন বলতে পারে, আহ্ আমাদের দেশটা কত সুন্দর। সবুজে ঘেরা তার চারপাশ। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ তেমনি একটি ভ্রমণ সংগঠন, যার প্রতিটা সদস্য মুখিয়ে থাকে সময়-সুযোগমত দেশ ও দেশের জনগণের প্রয়োজনে যে কোন স্বেচ্ছাসেবকমূলক কর্মকা-ে নিজেদের জড়াতে। অসহায়দের জন্য শীতবস্ত্র, বন্যার্তদের ত্রাণ, খাঁচায় বন্দী বন্যপাখি অবমুক্তসহ পর্যটন এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্টকারী খাবারের অপচনশীল মোড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। সম্প্রতি দে-ছুট ‘সবুজে হোক সয়লাব-আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ’ এই স্লোগান তুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল, ঢাকা জেলার ধামরাই ও সাভার উপজেলার নামাগে-া গ্রামে বিভিন্ন জাতের কাঠ, ওষুদি এবং ফলজ গাছের চারা লাগিয়েছে।
চারা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেড়াও দেয়া হয়েছে। বৃক্ষরোপণের কর্মসূচী উপলক্ষে দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অর্গানাইজার মোঃ জাভেদ হাকিম শুভেচ্ছা বক্তব্যে জানান, প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ মৌসুমে যে হারে গাছের চারা লাগানো হয় তা যদি যথাযথ তদারকি করা যেত তাহলে পরের মৌসুমেই সেখানে আর চারাগাছ লাগাতে হত না। সেই জায়গাটা ছায়া ঘেরা থাকত। তাই দে-ছুট বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি স্থানীয়দের ওপর গাছের পরিচর্যারও দায়িত্ব অর্পণের ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন দেশে যে হারে নগরায়নের কারণে প্রতিদিন গাছ কাটা পরছে, সেই অনুপাতে নতুন করে গাছের চারা লাগানোর জন্য কারোই তেমন উদ্যোগ নেই। ফলে পরিবেশের উপর মারাত্মক চাপ পড়ছে। জলবায়ু অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। পশু-পাখির খাদ্যাভাব, মানুষের মনন, বিরূপ আবহাওয়া, কোমল প্রকৃতির রুক্ষতা সব মিলিয়ে পরিবেশের ভারসাম্যই নষ্ট হওয়ার পথে। তিনি অন্যান্য ভ্রমণ সংগঠনগুলোকেও আহ্বান জানান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য।
মোঃ জাভেদ হাকিম দে-ছুট এর বন্ধুদের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেনÑ আমরা যখনি কোথাও ঘুরতে যাব তখনি সুযোগমতো অন্তত একটি গাছের চারা হলেও সেখানে বুনে আসব। তিনি আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন তার মৃত্যুর পরও যেন সংগঠন হতে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচী অব্যাহত থাকে। জাভেদ হাকিমের আশাবাদ বাস্তবায়নের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান উপস্থিত সদস্যরাসহ দে-ছুট-এর বেস্ট অর্গানাইজার মোঃ জসিম উদ্দিন।
ভ্রমণ ডেস্ক