ঈদের দিনেও
রবিউল হুসাইন
আজ আমাদের খুশির ঈদ
আনন্দের এই দিনেতেও তাই
দু’চোখে আসে না নিঁদ
সারাটি রাত জেগে থাকি
তবু কিছুই ভেবে না পাই
এমন সুখটি কোথায় রাখি
ঈদগাহতে নামাজ পড়ে
সবার সাথে কোলাকুলি
শেষে যাই ময়দান ছেড়ে
যাত্রা করি বাড়িমুখী
বড়দের দেই সালাম নেই পদধূলি
আর দেয়ালে মায়ের মুখ দেখি
আমার মতো দুঃখী জন হায়
কেন অসহায় আর হতভাগা
মা-হারানো জীবন ধারায়
মায়ের কথা মনে করে
ঈদের দিনেও এই অভাগা
চোখের জলে কেঁদে মরে ।
ঈদের খুশি আনে চাঁদ
শিউল মনজুর
চাঁদের হাসি মধুরহাসি
ছড়ায় সুখ রাশি রাশি।
চাঁদের আলো
খুউব ভালো।
অন্ধকারে জ্বালায় বাতি
চাঁদ মামা পথের সাথী।
চাঁদের আলোয় পরি আসে
বাগান জুড়ে জোনাক হাসে।
ঈদের খুশি আনে চাঁদ
মুছে দেয় মনের খাদ।
ঈদের দিনে সবার মুখে
চাঁদের হাসি পাই,
ঈদের দিনে ঘুরে ঘুরে
বন্ধুর বাড়ি যাই।
ঈদ মানে তো
আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী
ঈদ মানেতো নতুন জামা
নতুন জুতো নতুন আশা,
ঈদ মানেতো সবার মাঝে
দাও ছড়িয়ে ভালোবাসা।
ঈদ মানেতো নয় শুধু তাই
এক পরিবার সুখ
ঈদ মানেতো দাও ঘুচিয়ে
অন্য সবার দুখ।
ঈদ মানেতো দেশের তরে
ভালোবাসার পণ
ঈদ মানে তো করবো জয় আজ
সব মানুষের মন।
ঈদের জামা দিলেন মামা
নুরুন্নাহার শিরীন
খুকুর মামা আঁকেন ভালো।
কাক আঁকতে ভাবেন- কাকটা কেন কালো?
তাইতো তিনি সাদা পাতার বুকে
রঙিন সে এক কাক আঁকেন ঝুঁকে।
দেখতে সে হয় মস্ত যেন প্যাঁচা।
দেখেই খুকু বলে- ও মামা, কিনে আনো খাঁচা।
খাঁচা কিনতে মামা গেলেন হাটে।
হাটে গিয়ে চড়ে বসেন খাটে।
দোকানিরা যতই বলে নামেন
ততই মামা খেপে বলেন- থামেন ভাই থামেন।
অবশেষে দোকান থেকে একটা লাল জামা
খুকুর জন্য কিনে আনেন মামা।
আকাশে তখন ঈদের বাঁকা চাঁদ।
আনন্দে খুকু ধরে মামার হাত।
ছবির প্যাঁচা পড়েই থাকে পাতার বুকে।
আঁকাঝোঁকা ভুলে মামা সেমাই খান সুখে।