
ছবিঃ সংগৃহীত
হেবা (বা দান) হলো ইসলামী শরিয়াহ অনুসারে আত্মীয় বা অন্য কারো প্রতি সদিচ্ছা বা মমতার বশবর্তী হয়ে জমি বা সম্পত্তি বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়া। কিন্তু এই হেবা যদি যথাযথভাবে আইনসম্মত রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই করা হয়, তাহলে পরবর্তীতে তা বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুসারে, ১০০ টাকার অধিক মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে হলে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক (ধারা ১৭)। হেবা সেই স্থাবর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত, তাই এর রেজিস্ট্রেশন আবশ্যক।
রেজিস্ট্রেশন না করলে নানা সমস্যা হতে পারে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আইনগত মালিকানা প্রমাণ করা যাবে না। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে হেবা প্রদানকারী বা গ্রহীতার কোনো পক্ষেই মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হবে।
এতে করে ভবিষ্যতে বিরোধ বা মামলা হতে পারে। অপর ভাইবোন বা আত্মীয়রা হেবার বৈধতা অস্বীকার করে মামলা করতে পারে। এছাড়া জমি বিক্রি বা স্থানান্তর সম্ভব হবে না। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া হেবাকৃত জমি পরবর্তীতে বিক্রি, বন্ধক বা নামজারি করা যাবে না।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া হেবাকৃত জমির দলিল কোর্টে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে না। হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে আদালত সেটিকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার প্রশ্নে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। হেবাকৃত জমি যদি রেজিস্টার্ড না হয়, তাহলে সেটি হেবাদাতার উত্তরাধিকার সম্পত্তি হিসেবে ধরা হতে পারে এবং অন্য উত্তরাধিকাররা দাবি তুলতে পারে। তাই হেবা সম্পন্ন হওয়ার সময়ই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে নিকটস্থ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/reel/1915373412202382
আরশি