
সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সানাউল্লাহকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে সেনবাগের ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা থেকে শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে এসে প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন, নিলয়, মিরাজ, হাবিব, আক্রাম, পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন এবং কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সামি প্রমুখ।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সানাউল্লাহর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশে মোহাম্মদ সানাউল্লাহকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নোয়াখালীর বালিয়াকান্দী কেন্দ্রের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। বহিষ্কার আদেশে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দলীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, মাস্ক, খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এটি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ ছিল।
সানাউল্লাহকে নিয়ে আরও জানা যায়, তিনি সেদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে তাঁর এক আত্মীয়কে পরীক্ষার আগে মানসিকভাবে সাহস দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান এবং শিক্ষক অনুমতিতে কয়েক মিনিট কক্ষে অবস্থান করেন। তার দাবি, তখন পরীক্ষা শুরু হয়নি এবং কোনো বেআইনি বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেখানে যাননি।
বহিষ্কারের ঘটনায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, ত্যাগী ছাত্রনেতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এটি দলীয় ক্ষতির কারণ হবে। কেউ কেউ বলছেন, দলীয় কোন্দলের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছি, কিন্তু আমি কোনো বেআইনি কাজ করিনি। দল আমাকে ডাকলে আমি ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত।”
মিমিয়া