
ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘে দেওয়া এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডরোথি শে বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা তাদের “নির্দিষ্ট লক্ষ্য” পূরণ করেছে। এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, “এই হামলা ছিল আত্মরক্ষার অধিকার অনুযায়ী এবং জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ইসরায়েল, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য ইরান যে হুমকি সৃষ্টি করছিল, তা প্রশমিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সপ্তাহান্তের ওই হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” হয়ে গেছে।
তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন বলছে, এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক মাসের জন্য পেছানো সম্ভব হয়েছে মাত্র। এই তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে জড়িত তিনটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, এই অভিযান ছিল প্রতিরক্ষামূলক এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এই হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা
এম.কে.