ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বললেন, যুদ্ধবিরতি ভাঙা হবে ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’

“ইসরায়েল, বোমা ফেলো না”—ইরান ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৪ জুন ২০২৫

“ইসরায়েল, বোমা ফেলো না”—ইরান ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন ইসরায়েলকে। তিনি এটিকে একটি "মারাত্মক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন" বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প Truth Social-এ স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, "ইসরায়েল, সেই বোমা ফেলো না। যদি ফেল, সেটা হবে বড় ধরনের লঙ্ঘন। এখনই তোমাদের পাইলটদের ঘরে ফিরিয়ে আনো!"

এই মন্তব্য আসে এমন সময়, যখন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ দাবি করেন—ইরান যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে এবং এর জবাবে তেহরানে হামলার নির্দেশ দেন তিনি।

তবে কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে নিশ্চিত করেন, "ইসরায়েল ইরানকে আক্রমণ করছে না। সব বিমান ঘুরে ফিরে যাচ্ছে, এবং ‘Plane Wave’ দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা জানাচ্ছে ইরানকে। কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে!"

ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন, ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আর কখনো পুনর্নির্মাণ করতে পারবে না—যা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে হামলায় ধ্বংস হয়েছে গত কয়েক দিনে।

হোয়াইট হাউজে ন্যাটো সম্মেলনে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, তেহরান ও তেলআবিব—দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েল সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাকে এখন ইসরায়েলকে ঠাণ্ডা করতে হবে।”

কী ঘটেছিল?

ইসরায়েল ১৩ জুন থেকে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালায়, দাবি করে—তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্র রোববার সকালবেলায় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান—বোমা হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এই হামলায় সাইটগুলো “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” হয়ে গেছে।

এর জবাবে ইরান সোমবার রাতে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। তবে এতে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির অবসান ঘটে একটি “১২ দিনের যুদ্ধ” শেষে, যা যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়।

যুদ্ধবিরতির শর্ত কী ছিল?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটি ধাপে ধাপে কার্যকর হবে।

  • প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে

  • ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েল থামবে

  • ২৪ ঘণ্টা শেষে পুরোপুরি সংঘর্ষ বন্ধ হবে

ঘোষণার পর ট্রাম্প লেখেন, "যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। অনুরোধ করছি, কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না!"

সূত্রঃ আনাদলু

ইমরান

×