দেশে দেশে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ, অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। ইরানে সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাতেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে সমান তালে। রবিবার পর্যন্ত গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইতালির রাজধানী রোমে বিক্ষোভকারীরা ঐতিহাসিক কলোসিয়ামের সামনে দিয়ে মিছিল করেন। তারা ইসরাইলকে আবার অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করার দাবি জানান। খবর আলজাজিরার।
জার্মানির বার্লিনে সংসদ ভবন রাইখস্টাগে সামনে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের নিন্দা জানান। তারা ইসরাইলের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের আহ্বান জানান। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনেও কেন্দ্রীয় রাজপথে প্রো-প্যালেস্টাইন সমর্থকরা মিছিল করেন। তারা যুক্তরাজ্য সরকারকে ইসরাইলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ও অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের দাবি জানান। সুইডেনের স্টকহোমে আয়োজিত আরেক বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা গাজার ওপর ইসরাইলের হামলার অবসান চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় একতরফা হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। রবিবার গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ২০২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৭ জন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের গণহত্যার যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯০৮ জনে। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৮ জনে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শুক্রবারও গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার পাশাপাশি ট্যাঙ্ক থেকে গোলাবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরে ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি সেনারা গুলি করলে ৩৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এ ছাড়া দেইর আল বালাহতে ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হন অন্তত আটজন। ইসরাইল ও ইরানের সংঘাত রবিবার ১০ম দিনে গড়িয়েছে। ইসরাইলের বিমান হামলার পাল্টা জবাব অব্যাহত রেখেছে ইরান। জানিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।