
ছবি: সংগৃহীত
গুজরাটের এক চিকিৎসক খুব অল্পের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর নাম ডা. উমাং পটেল। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যের নর্থহ্যাম্পটনে থাকেন। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি সেখানে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে গুজরাটের মাহিসাগর জেলার কয়ডাম গ্রামে বেড়াতে আসেন। তাঁরা ২৪ মে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। পরিবারের অন্য সদস্যরা কিছুদিন থাকার পরিকল্পনা করলেও ডা. পটেল একা ফিরে যাওয়ার জন্য ১২ জুন লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের টিকিট কেটে রেখেছিলেন।
কিন্তু ৯ জুন তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফেরার পর হঠাৎ করে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বর এতটাই বেশি ছিল যে পরদিন তিনি ঠিকভাবে দাঁড়াতেও পারছিলেন না।
তাঁর স্ত্রী তখন তাঁকে বিমানে না উঠতে বলেন। স্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে ভ্রমণ করা ঠিক হবে না। বাবামাও ছেলেকে বলেন, এই অবস্থায় যাওয়া উচিত নয়। পরিবারের কথায় ডা. পটেল শেষমেশ ১২ জুনের ফ্লাইট বাতিল করে দেন এবং বিশ্রাম নেন।
পরে তিনি জানতে পারেন, ১২ জুনের ওই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এই খবর শুনে তিনি স্তব্ধ হয়ে যান। ডা. পটেল বলেন, “ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছেন। আমি খুব কৃতজ্ঞ। যারা ওই বিমানে ছিলেন, তাঁদের জন্য আমার মন খারাপ লাগছে।”
এই খবর জানার পর তাঁদের গ্রামে অনেক মানুষ এসে পটেল পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গ্রামের সবাই বলছেন, এটা এক অলৌকিক ঘটনা। ডা. পটেল ১৫ জুন নতুন করে ফ্লাইট বুক করেছেন এবং ভালো হয়ে ওঠার পর তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাবেন।
এভাবেই পরিবারের ভালোবাসা আর সতর্কতায় তিনি আজ জীবিত আছেন— এটা ভেবেই তিনি এখন অনেক আবেগাপ্লুত।
সূত্র: নিউজ ১৮
এম.কে.