ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হোয়াইট হাউজে মাস্কের মাদক কান্ড নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ১০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৬, ১০ জুন ২০২৫

হোয়াইট হাউজে মাস্কের মাদক কান্ড নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প?

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইলন মাস্কের মাদক ব্যবহার সংক্রান্ত এক চাঞ্চল্যকর প্রশ্নের জবাব দেন। এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করে, ট্রাম্পের প্রচারণার সময় মাস্ক এত বেশি কেটামিন ব্যবহার করেছিলেন যে তা তার মূত্রথলিকেও প্রভাবিত করছিল। সেইসঙ্গে তিনি এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুমও নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ৩০ মে ওভাল অফিসে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মাস্কের বিদায় অনুষ্ঠানে এই খবরটি আলোচিত হয়। মাস্ক নিজেই তখন টাইমস-এর রাশিয়াগেট প্রতিবেদন নিয়ে বিদ্রুপ করে বলেন, “আমি মাদক নিচ্ছি না! নিউইয়র্ক টাইমস সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে।”

তিনি পরে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলেন, “আমি কয়েক বছর আগে প্রেসক্রিপশন কেটামিন নিয়েছিলাম এবং সেটা আমি এক্স-এ আগেই বলেছি। এটা খবর না। এটি ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ছিল, কিন্তু আমি এরপর তা আর নেইনি।”

সোমবার (৯ জুন) ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, তখন তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়: “মাস্ক কি হোয়াইট হাউজে মাদক এনেছিলেন?” ট্রাম্প জবাবে বলেন, “আমি আসলে জানি না, মনে হয় না। আশা করি না। আমি তার মঙ্গল কামনা করি… খুবই মঙ্গল কামনা করি।”

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক এরপর থেকে আরও খারাপ দিকে গড়ায়। মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, ট্রাম্পের নামও জেফরি এপস্টেইন ফাইলসে রয়েছে। জবাবে ট্রাম্প হুমকি দেন, তিনি মাস্কের সব সরকারি চুক্তি বাতিল করবেন।

মাস্ক পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি চাচ্ছেন ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হোক এবং ৪০ বছর বয়সী ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যেন তাঁকে প্রতিস্থাপন করেন।

এছাড়া খবর বের হয়, ট্রাম্প মাস্ককে সমর্থন জানাতে কিনে নেওয়া লাল রঙের একটি টেসলা গাড়ি বিক্রি করে দিতে পারেন। ট্রাম্প জানান, “আমি কিছু শুনিনি, হয়তো গাড়িটা একটু এদিক-ওদিক সরাবো।”

তবে তিনি জানান, মাস্কের স্টারলিঙ্ক সিস্টেম চালু রাখবেন।

মাস্কের আরেকটি বিতর্ক জন্ম দেয়, যেখানে অভিযোগ ছিল তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে শারীরিকভাবে লিপ্ত হয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “না, আমি কিছু দেখিনি। একটা তর্ক-বিতর্ক ছিল, কিন্তু শারীরিক কিছু দেখিনি।”

এই প্রেক্ষাপটে মনে করিয়ে দেয়া যায়, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হোয়াইট হাউজে কোকেইনের একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্র করিন জ্যঁ-পিয়েরে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের উপর চটে যান। যদিও তদন্তে আসল মালিক শনাক্ত করা যায়নি, তবুও ধারণা করা হয়েছিল এটি হান্টার বাইডেনের হতে পারে, যিনি মাদকাসক্তির জন্য পরিচিত।

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এফবিআই এই কোকেইন মামলাটি আবারও চালু করেছে। এফবিআইয়ের উপ-পরিচালক ড্যান বংগিনো এক্স-এ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মুমু ২

×