ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কী ছিল ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর সেই ফোনালাপে?

প্রকাশিত: ২২:১২, ২৯ মে ২০২৫

কী ছিল ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর সেই ফোনালাপে?

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করে বলেছেন, “এখনই ইরানে হামলা চালানো উচিত হবে না। আমরা সমাধানের খুব কাছাকাছি।”

তবে মার্কিন প্রশাসনের এই মনোভাবের বিপরীতে, নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এই তথ্য ঘিরে হোয়াইট হাউজে শুরু হয়েছে উত্তপ্ত আলোচনা।

নেতানিয়াহু অবশ্য এই প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইস্যুটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত একাধিক সূত্রের উপর ভিত্তি করেই তাদের অনুসন্ধান প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বৈঠকেই নেতানিয়াহুকে পাশে বসিয়ে ইরান ইস্যুতে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সফরে ইসরায়েলকে উপহার দেওয়া হয়েছিল ২০০০ পাউন্ডের বোমা, যা ফিলিস্তিনে গাজায় অভিযানে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার পাঁচ দফা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ আলোচনা হয় গত ২৩ মে ইতালির রোমে। সেখানে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিউইট উইটকফ নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রতিনিধি দলে। একই সময়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ও কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার গোপনে ওয়াশিংটনে গিয়ে সিআইএ পরিচালক জন রেডক্লিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

এদিকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে ইরানও। "অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি" ঘোষণা করে সর্বোচ্চ সামরিক প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইআরজিসি। ইতোমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে, যা যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উত্তেজনা যদি আরও বাড়ে, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে।

আঁখি

×