
ছবি: সংগৃহীত
জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যালয়ে কট্টর ডানপন্থী ইসরাইলিদের হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব।
সোমবার (২৭ মে) জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল থেকে এ আগ্রাসী ঘটনা ঘটে। মিছিলকারীদের একটি দল ইসরাইলি পতাকা হাতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়ে। তারা ফিলিস্তিনি পথচারী, দোকানদার, এমনকি স্কুলগামী শিশুদের লক্ষ্য করে গালাগাল, থুতু ছিটানো ও হামলা চালায়।
মিছিলের সময় ইসরাইলি নাগরিকদের “আরবদের মৃত্যু হোক” এবং “তোমাদের গ্রাম জ্বলে যাক”– এমন ঘৃণাসূচক স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। একইসঙ্গে তারা পুরনো জেরুজালেমের অলিগলি ঘুরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক আচরণ করে।
পুলিশের উপস্থিতিতে পূর্ব জেরুজালেমে ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে মিছিলকারীদের একটি দল। এ দলে ইসরাইলি সংসদ সদস্য ইউলিয়া মালিনভস্কিও ছিলেন, যিনি ইউএনআরডব্লিউএ নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আইনের অন্যতম প্রণেতা।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গেভীরসহ ২ হাজারের বেশি ইসরাইলি আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় আগ্রাসীভাবে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে বেন গেভীর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, “যুদ্ধের বিজয়, জিম্মিদের মুক্তি এবং নতুন সেনাপ্রধানের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছি।”
আলজাজিরার সংবাদদাতা নিদা ইব্রাহিম বলেন, “এই মিছিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে জেরুজালেমে ইসরাইলি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।”
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ২৬ মে ইসরাইলে ‘জেরুজালেম দিবস’ পালিত হয়। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। তারপর থেকেই এই এলাকাটি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যদিও আন্তর্জাতিক আইনে এটি অবৈধ।
পূর্বের ঘটনাগুলোর মতো এবারও মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছর একই দিনে ফিলিস্তিনি এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল এবং চার বছর আগে এই মিছিলই গাজায় ১১ দিনের যুদ্ধের কারণ হয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।
আসিফ