
ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বদলে গিয়েছে সে দেশের অভিবাসী নীতি। ইতিমধ্যে কয়েক শো ‘অবৈধ অভিবাসী’ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এবার ভারতীয় ট্রাভেল এজিন্সেগুলির কর্ণধার এবং শীর্ষ আধিকারিকদের উপরেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা। যেহেতু তারাই মার্কিন মুলুকে ভারত থেকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশে’ দায়ী বলে মনে করছে হোয়াইট হাউজ।
সোমবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, “আমাদের দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলি প্রতিদিন কাজ করে অবৈধ অভিবাসন, মানব পাচার এবং পাচারের কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে।” আরও বলা হয়েছে, “ভারতে অবস্থিত এবং পরিচালিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মালিক, নির্বাহী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করেছে, এরাই সে দেশের অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরই দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার অবৈধ বসবাসকারীদের বিমানে তুলে নিজ নিজ দেশে ফেরানো হয়েছে। বাদ পড়েনি অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রাও। রীতিমতো হাতে ও কোমরে দড়ি বেঁধে দাগি অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা হয় এইসব নাগরিকদের সঙ্গে। যা নিয়ে বিতর্কও হয়।
মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, অবৈধবাসীরা যদি স্বেচ্ছায় আমেরিকা ছেড়ে চলে যান সেক্ষেত্রে তাঁদের এক হাজার ডলার করে সরকার দেবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৫ হাজার টাকা।
আলীম