
ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঝড় থামছে না। এবার সেই ঝড় সরাসরি পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক দরবারে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দোরগোড়ায়। কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই ছেলে সুলেমান খান ও কাসিম খান তাঁর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের এক সাক্ষাৎকারে, তাঁরা জানান, ‘আইনি ও কূটনৈতিক সব পথ ব্যর্থ হয়েছে। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্প্রদায়কে সামনে আনার।’
৭২ বছর বয়সী ইমরান খান বর্তমানে বন্দী রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ১৫০টিরও বেশি মামলা, যার কিছুতে মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনাও রয়েছে, বলে দাবি করেন কাসিম।
এই প্রথমবারের মতো ইমরান খানের সন্তানরা—যারা এতদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেন—পিতার জন্য প্রকাশ্যে সামনে এলেন।
সুলেমান খান বলেন, "আমরা চুপ থেকেছি অনেক দিন, কিন্তু আর নয়। আমার বাবাকে প্রতিশোধের রাজনীতির শিকার করা হচ্ছে। তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।"
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো— তাঁরা সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। কাসিম বলেন, “এই মুহূর্তে ট্রাম্পই এমন একজন বিশ্বনেতা যিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে পারেন। আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাইছি।”
২০২৩ সালে একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান খান। এরপর থেকে তিনি জেলে রয়েছেন, যদিও তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বরাবরই এসব মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে।
সুলেমান ও কাসিম বলেন, "আমার বাবা কোনো আপস করবেন না। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের ছেলেদের এই আবেদন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে। তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসন এখনও নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে।
নুসরাত