ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

চীনের জে-১০সি’তে ভূপাতিত রাফাল, এবার আকাশসীমায় রাজত্ব করবে নতুন যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:০৬, ১৩ মে ২০২৫

চীনের জে-১০সি’তে ভূপাতিত রাফাল, এবার আকাশসীমায় রাজত্ব করবে নতুন যুদ্ধবিমান

ছবি: সংগৃহীত

আকাশ সীমায় ভারতের বিরুদ্ধে কৌশলগত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তানের হাতে থাকা চীনা নির্মিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘর্ষে দুটি রাফাল জেট ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় শুধু আঞ্চলিক উত্তেজনাই নয়, চীনা সামরিক প্রযুক্তির কার্যকারিতাও নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি বড় চমক নিয়ে হাজির হলো চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। বহু প্রতীক্ষিত, পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান জে-৩৫এ অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে এল বেইজিং। জুহাই এয়ার শোতে প্রথমবারের মতো এই বিমান উন্মোচনের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর নজর জে-৩৫এ-এর দিকে সরে যায়।

বিশ্লেষকদের মতে, জে-৩৫এ দেখতে অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের মতো। তবে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো, মার্কিন এফ-৩৫ একটি ইঞ্জিনচালিত হলেও চীনের জে-৩৫এ-তে রয়েছে দুটি ইঞ্জিন। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ব্যবহৃত হয়েছে চীনের নিজস্ব উন্নত ইঞ্জিন WS-9, যা আগের WS-13 ইঞ্জিনের তুলনায় অধিক শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং দীর্ঘ সময় ধরে উড্ডয়নে সক্ষম।

এই যুদ্ধবিমানটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর স্টেলথ ক্ষমতা। বিশেষজ্ঞরা একে ‘লো-অবজারভেবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে অভিহিত করছেন, যার মানে এটি রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। যদিও এখনো পর্যন্ত এর সেন্সর প্রযুক্তি বা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেনি চীন, তথাপি সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জে-৩৫এ শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে গভীরে ঢুকে আক্রমণ চালানোর মতো সক্ষমতা রাখে।

এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো, এটি তুলনামূলকভাবে হালকা ও ছোট আকৃতির, যা একে বিমানবাহী রণতরিতে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী করে তুলেছে। চীনের দ্বিতীয় স্টেলথ যুদ্ধবিমান হিসেবে জে-৩৫এ এসেছে জে-২০ এর পরে, যা ২০১৬ সালে পিপলস লিবারেশন আর্মির বহরে যুক্ত হয়েছিল।

জে-৩৫এ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেন ইয়াং এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন একে তাদের আগের প্রোটোটাইপ জে-৩১ এর উন্নত সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, জে-৩১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে ২০১২ সালে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, চীন দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের নকশা ও প্রযুক্তিকে অনুকরণ করে আসছে। যেমন জে-২০ ও এফ-২২ র‍্যাপটর এবং জে-১০সি ও এফ-১৬ এর মধ্যেও বাহ্যিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

যদিও জে-৩৫এ এখনো সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, তবুও এর কৌশলগত গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা ভারসাম্যে এক নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চীনা প্রযুক্তির সরাসরি প্রয়োগ এবং কার্যকারিতা দেখে এটা বলাই যায়ভবিষ্যতে শুধু অস্ত্রে নয়, প্রযুক্তির প্রজ্ঞায়ও হবে তুমুল লড়াই।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=CVkaeWbsB4Q

রাকিব

×