
ছবিঃ সংগৃহীত।
আমেরিকার ক্ষেত্রে এই প্রবাদটি একেবারেই প্রযোজ্য। সেটি হচ্ছে ‘সর্প হয়ে দংশন করো, ওঝা হয়ে ঝাড়ো’। দেশে দেশে সংঘাত, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতেও সিদ্ধহস্ত এই দেশ।
তা সত্ত্বেও যেন আমেরিকা বিশ্বমোড়ল। সকল সংকটেই তাদেরকে ডাকা হয় আলোচনার জন্য। এমনকি কখনো কখনো সিদ্ধান্ত আসে আমেরিকা থেকে। এবার মহা দুর্যোগে পড়ে গিয়েছে বিশ্বের শক্তিধর দেশটি।
আমেরিকার কাছে উন্নত সমরাস্ত্র থেকে শুরু করে উদ্ধার তৎপরতার আধুনিক প্রযুক্তি থাকলেও এবার হেরে গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস। এখানকার বেশিরভাগ এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দামি দামি বিলাসবহুল বাড়ি ছাঁইয়ে পরিণত হয়েছে। তীব্রতা এতটাই বেশি যে, কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
প্রকৃতির সঙ্গে এই যুদ্ধে হেরে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথিবীর কোনো প্রাণীই নাকি আগুন নেভাতে পারবে না। দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমি, ছাড়তে হয়েছে প্রায় দুই লাখ বাসিন্দাকে। দুটি দাবানলের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলে নতুন করে আরও দুই লাখ মানুষকে ছাড়তে হবে।
নতুন করে লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলের প্যালিসেডস ও এটন দাবানল সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যদিও কিছু এলাকায় আগুনের তীব্রতা কমেছে, তবে বাতাসের গতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় মরুভূমি থেকে উড়িয়ে আসা তীব্র বাতাস বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১১২ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হতে পারে, যা আগুনের বিস্তার আরও ত্বরান্বিত করবে।
মহি