
স্কুলে ঢুকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
স্কুলের ভিতরে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এ ঘটনায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের মদতে তাদের উপর আক্রমণ হয়েছে। যদিও প্রধান শিক্ষক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্কুলের ভেতরে আটকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্ধার করতে যায় পুলিশ।
এদিকে এক শিক্ষককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের ‘স্টাফ রুম’-এ শিক্ষিকারা ভীত মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। কয়েক জন শিক্ষিকা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।’ হামলার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েকজন শিক্ষিকা। অভিযোগ, তাদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
আজ সকালে ৫০-৬০ জনের একটি দল স্কুলে ঢুকে হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আক্রমণকারীদের কয়েক জন নাকি জানিয়েছেন তাঁরা প্রধানশিক্ষকের কথায় এসেছেন। এক শিক্ষকের কথায়, ‘প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য আমরা সামনে এনেছি। উনি পাল্টা চাপ সৃষ্টি করে সেই সব অভিযোগ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’ ওই শিক্ষকের দাবি, ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ‘ভিন্ন’।
প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি হামলার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন। অন্যদিকে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন,‘বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যে শিক্ষক অভিযুক্ত তিনি স্কুল কামাই করেছেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে তাকে আমরা চিঠি দেব।’
সহ-শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনাকে জনরোষ বলে মন্তব্য করে প্রধান শিক্ষক জানান, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তার যা করণীয়, তাই করবেন। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এম হাসান