
ছবি: সংগৃহীত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন শনিবার থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের ‘যুদ্ধে’ তাঁর সেই স্বপ্ন ভেস্তে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কয়েক মাস ধরেই উচ্চাভিলাষী কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন :বাংলাদেশি শুভ জয় করল আমেরিকার মাটি
ইসরায়েলের ওপর হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণ পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো সংঘাত ক্যান্সার হিসেবে এখনও রয়ে গেছে। যদিও ওয়াশিংটন, জেরুজালেম, রিয়াদ এবং অন্য আরব দেশের নেতারা নতুন করে একটি পরিমার্জিত অঞ্চল গড়তে চান।
আমেরিকান কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাস বা তার পৃষ্ঠপোষক ইরানের দ্বারা এই হামলা হয়েছে। এটি মূলত ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে যুগান্তকারী চুক্তির মধ্যস্থতায় বাইডেনের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার জন্য করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছেন, এই ঘটনা ইসরায়েল এবং ছোট আরব দেশগুলোর মধ্যে আব্রাহাম চুক্তির মতো একটি চুক্তিতে পৌঁছানো আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মধ্যে হওয়া ২০২০ সালের যৌথ চুক্তিকে আব্রাম চুক্তি বলা হয়। এর ফলে এ দুই দেশ ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
হামলার পর সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া ইসরায়েল ও তার সমর্থকদের হতাশ করেছে। দেশটির বিবৃতিতে হামলার নিন্দা করা হয়নি। বরং দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
টিএস