
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জোহরান মামদানি
নিউইয়র্ক সিটি নিয়ে সাহসী সব পরিকল্পনা রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির। তিনি নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানায় মুদিদোকান চালু, আরও বাড়ি নির্মাণ ও বাসের ভাড়া সম্পূর্ণ মওকুফ করতে চান। আরও চান ভর্তুকিপ্রাপ্ত ভাড়াটেদের জন্য বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি স্থগিত করতে।
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিকে সামনে রেখে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীরা ও কিছু গণমাধ্যম ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে তার অবস্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। মামদানি ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় সরব কণ্ঠস্বর। তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন এবং গাজায় ইসরাইলি হামলাকে গণহত্যা হিসেবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের সঙ্গেও একমত পোষণ করেছেন।
ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে মামদানির এ অবস্থান নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও নিজের অবস্থান থেকে একচুল পিছু হটেননি তিনি এবং ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে অভাবনীয় জয় পেয়েছেন। স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য মামদানি এখন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী। মামদানির সমর্থকদের মতে, এই জয় হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন বাঁকের সূচনা, যা এটিই দেখিয়েছে যে প্রগতিশীল নীতিমালা ও ফিলিস্তিনের অধিকারকে সমর্থন দিয়েও নির্বাচনে সফল হওয়া সম্ভব।
প্রগতিশীল সংগঠন জাস্টিস ডেমোক্র্যাটসের মুখপাত্র উসামা আন্দ্রাবি বলেন, ‘এটি একটি বড় ঘটনা। যারা সত্যিকারের প্রগতিশীল এবং ধনকুবের ও করপোরেট অর্থায়নে পরিচালিত রাজনৈতিক প্রচার সংস্থার বিরুদ্ধে শ্রমজীবী শ্রেণিকে একত্র করতে প্রস্তুত, কিন্তু গণহত্যার মতো বড় বিষয় নিয়ে কোনো ছাড় দেন না, তাদের সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না।’
ডিজিটাল মিডিয়ায় দক্ষ, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অমায়িক স্বভাবের ৩৩ বছর বয়সী তরুণ মামদানি নিউইয়র্কের রাস্তায় তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার ও ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজ সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন।
এদিকে এই তরুণ নেতার সমালোচনায় সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জোহরানকে ‘পাগল কমিউনিস্ট ও ভয়ংকর’ বলে বিদ্রুপ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার একাধিক পোস্টে ট্রাম্প মামদানির চেহারা, কণ্ঠস্বর ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিদ্রুপ করেছে বলেন, ছেলেটি ‘শতভাগ পাগল ও কমিউনিস্ট’। এর আগেও আমরা উগ্র বামপন্থিদের দেখেছি, তবে এটা রীতিমতো হাস্যকর হয়ে উঠেছে। তিনি দেখতে ভয়ংকর, বিরক্তিকর কণ্ঠ, তার বুদ্ধিসুদ্ধিও খুব একটা নেই।