
মোহাম্মদ বিন সালমান ও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চায় ইহুদিবাদী ইসরাইল। তবে এক্ষেত্রে সবসময় বাধা দিয়ে আসছিল ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে থাকা ফিলিস্তিন। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইল-সৌদির এক হওয়ার বিষয়ে নমনীয় হতে পারে ফিলিস্তিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত বুধবার সৌদির উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল ফিলিস্তিনের শাসক দল প্যালিস্টিনিয়ান অথরিটির (পিএ) প্রতিনিধি দল। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে।
তবে সৌদির সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন। তারা বলেছে, তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ দিতে হবে।
সৌদি-ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবেই এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছে প্যালিস্টিনিয়ান অথরিটি।
ইসরাইল-সৌদির সম্পর্কের বিষয়টি পুরোটি দেখভাল করবে যুক্তরাষ্ট্র। তারাই সবকিছু করবে। এর বদলে মার্কিনিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি করতে পারবে সৌদি। তবে এটি যে এখনই হয়ে যাবে এমন সম্ভাবনা কম। তাছাড়া বিষয়টি বাস্তবে রূপ নিতেও অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদিকে ফিলিস্তিন যেসব শর্ত দিয়েছে সেসব শর্ত বিষয়ে বিবিসিকে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, তারা শর্ত দিয়ে বলেছেনÑ
এক. পশ্চিম তীরের যেসব অংশ ইসরাইল অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের হাতে তুলে দিতে হবে;
দুই. পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে;
তিন. পূর্ব জেরুজালেমে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট খুলতে হবে যেটি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধ করে দিয়েছিলেন;
চার. যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার আলোচনা আবারও শুরু করতে হবে যেটি ২০১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আলোচনা সেখান থেকেই শুরু করতে হবে যেখানে এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। -বিবিসি