
ছবি : জনকন্ঠ
জামিনে বের হয়ে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি হারুন ফকির প্রতিশোধ নিতে কুড়ে খরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ জাকির হোসেন গাজী। তিনি আরো বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দাড়িয়ে থাকে হারুন ফকির ও সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমি বিদ্যালয় যেতে পারছি না। আমার পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দ্রত সন্ত্রাসী হারুন ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন গাজী বলেন, আমি গত ২২ এপ্রিল আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার বাড়ী ফিরছিলাম। পথিমধ্যে হারুন ফকিরের সহযোগী আরিফ হাওলাদার আমাকে তার মোটর সাইকেলে তুলে হারুন ফকিরের বাড়ীতে নিয়ে যায়। ওই বাড়ীতে নিয়ে আমাকে তার ঘরে আটকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। আমি মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করায় আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রক্ষা পাই। আমি বাড়ীতে আসার পরের দিন ২৩ এপ্রিল তাদের দাবীকৃত দুই লাখ টাকা দাবী করেন। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ২৭ এপ্রিল আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হারুন ফকির ও তার সহযোগী আরিফ হাওলাদার, অনিক ও আব্দুল হাইকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। ওই মামলার পুলিশ প্রধান আসামী হারুন ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই মামলায় সাত দিন জেল হাজত শেষে গত বুধবার হারুন ফকির জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে এসে হারুন ফকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে ও আমার বড় শ্যালক ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান মোল্লাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এর জের ধরে গতকাল শনিবার গভীর রাতে আমার শ্যালকের কুড়ের খরে আগুন দেয়। খবর পেয়ে আমতলী দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থনে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী হারুন ফকির ও তার সহযোগীদের ভয়ে আমি বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। আমি প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী হারুন ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান, মোকলেসুর রহমান মোল্লা, রুহুল আমিন, রুবেল মোল্লা ও রাকিব মোল্লা প্রমুখ।
ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের বড় ভাই মোকলেসুর রহমান মোল্লা বলেন, আমি শনিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাহিরে বের হই। ওই সময় কুড়ে আগুন জ্বলতে দেখি। আমি ডাক চিৎকার দিলে হারুন ফকির, আরিফ হাওলাদার, রুবেল ও দীপঙ্কর পালিয়ে যায়।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদল সভাপতি হারুন ফকিরের যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন (০১৭৩৬৯১১৭২৯) বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সহযোগী আরিফ হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই যানিনা।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, কুড়ের খরের আগুন দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আঁখি