ত্রাণ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইল। শনিবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায়প্রাণ গেছে ২২ জনের। যারমধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।
এদিকে ইসরাইলের গাজায় আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আটক হওয়া কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল মুক্তি পেয়েছেন। তিন মাসেরও বেশি সময় কারাগারে থাকার পর তাকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার। লুইজিয়ানার জেনা শহরে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বন্দিশালায় আটক থাকা খলিল ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত। তিনি শেষ ব্যক্তি হিসেবে আটক ছিলেন। শনিবার বিকেলে নিউ জার্সির ফেডারেল বিচারক মাইকেল ফারবিয়ার্জ খলিলের মুক্তির নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, খলিলের পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই এবং তিনি জনসাধারণের জন্য কোনো হুমকি নন। এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ৩০ বছর বয়সী খলিলকে মার্চের শুরুতে নিউইয়র্কে তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে সাদা পোশাকে মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছিলেন। তখন থেকে তাকে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেনা বন্দিশালায় রাখা হয়। মুক্তির পর সাংবাদিকদের খলিল বলেন, অবশেষে ন্যায়বিচার হয়েছে। কিন্তু এতে তিন মাস সময় লাগা এক ধরনের ব্যর্থতা। আমি এমন এক জায়গা থেকে বেরিয়ে এলাম যেখানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ অন্যায়ভাবে বন্দি।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি ছিল, খলিলের ফিলিস্তিনপন্থি কার্যকলাপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। উল্টা খলিলের পক্ষে বহু ইহুদি শিক্ষার্থী ও অধ্যাপক আদালতে লিখিত বক্তব্য দেন। খলিল নিজেও সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি ও ইহুদি জনগণের মুক্তি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।
