ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ৭টি মতৈক্য: ওয়াং ই

কূটনৈতিক রিপোর্টার:

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ২৮ মে ২০২৫

চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ৭টি মতৈক্য: ওয়াং ই

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ বুধবার বেইজিংয়ে চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইশাকদার এবং আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি অংশগ্রহণ করেন।

তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ত্রিপক্ষীয় সংলাপের অর্জনগুলোকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেন এবং এই ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর সম্ভাবনা কাজে লাগানো ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন।
 

ওয়াং ই বৈঠকের ফলাফলগুলো নিম্নলিখিত সাতটি মূল বিষয়ে সংক্ষিপ্তসার করেন:

১. রাজনৈতিক আস্থা বৃদ্ধি ও প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব বজায় রাখা:
চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে তাদের নিজস্ব জাতীয় অবস্থান অনুযায়ী উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে সমর্থন করে এবং উভয় দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।

২. ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংলাপ কাঠামোর ভূমিকা শক্তিশালী করা:
ত্রিপক্ষীয় সংলাপ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে ব্যবহার করে যত দ্রুত সম্ভব কাবুলে ষষ্ঠ চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা হবে।

৩. ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা:
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং নীতিগতভাবে দ্রুত রাষ্ট্রদূত বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। চীন এটিকে স্বাগত জানায় এবং আফগান-পাকিস্তান সম্পর্কে উন্নয়নে সহায়তা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।

৪. ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ’ (বিআরআই) সহযোগিতা গভীরতর করা:
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে আফগানিস্তানে সম্প্রসারিত করা এবং আঞ্চলিক সংযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হবে।

৫. বাস্তবমুখী সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও সহযোগিতার মানোন্নয়ন:
চীন ও পাকিস্তান আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সমর্থন দেবে, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী এবং আফগানিস্তানের স্বনির্ভর উন্নয়ন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

৬. সকল রূপের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা:
ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান চালানো হবে এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে প্রতিহত করা হবে।

৭. আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা:
সকল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অনুকূল বহিঃপরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো হবে।

এই সাতটি বিষয়ের মাধ্যমে চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পারস্পরিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আফরোজা

×