ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বছর শেষে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধির আশা প্রেসিডেন্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বছর শেষে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধির আশা প্রেসিডেন্টের

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি চলতি বছরের শেষ দিকে প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি চলতি বছরের শেষ দিকে প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে এবং সরকার ২০২৬ সাল নাগাদ দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করতে পারবে বলে আশা প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের। বুধবার তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সোয়া দুই কোটি জনসংখ্যার দ্বীপদেশটিকে এখন ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যা দেশটিকে ঋণখেলাপিতে পরিণত করেছে, বাধ্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ’র) কাছে ২৯০ কোটি ডলারের বেইলআউট চাইতে।
আমরা ঋণাত্মক অর্থনীতি থেকে ধনাত্মকের দিকে যাচ্ছি। ২০২৩ সালের শেষদিকে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। ‘আমরা শূন্যে নেমে যাওয়া রিজার্ভকে ৫০ কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছি,’ পার্লামেন্টে নীতি বিষয়ক বিশেষ বিবৃতিতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারির শেষে শ্রীলঙ্কার আনুষ্ঠানিক রিজার্ভের পরিমাণ পৌঁছায় ২১০ কোটি ডলারে, যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই রিজার্ভের মধ্যে চীনের পিপলস ব্যাংক থেকে মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে আসা দেড়শ’ কোটি ডলারও রয়েছে; দ্বীপদেশটির হাতে তিন মাসের ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ না থাকায় এতদিন তারা এ বিনিময় করতে পারছিল না।
আইএমএফের বেইলআউট কর্মসূচির অর্থ পেতে শ্রীলঙ্কা এখন তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে সর্ববৃহৎ ঋণদাতা দেশ চীনের সঙ্গে কাজ করছে, বলেছেন বিক্রমাসিংহে। ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সরাসরি আলোচনা হচ্ছে। সব পক্ষের কাছ থেকেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমরা এখন চীনের মতো অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গিও যেন একইরকম হয়, সেজন্য কাজ করছি,’ বলেছেন তিনি।
ভারত, জাপানসহ অন্য ঋণদাতারাও এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। বিক্রমাসিংহে বলেছেন, সরকার অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারবে যদি জনগণ আরও ছয় মাস উচ্চ প্রত্যক্ষ কর সহ্য করতে পারে। ‘আমরা যদি এই পরিকল্পনায় অটল থাকি, তাহলে দেউলিয়া তকমা থেকে ২০২৬ সালে বেরিয়ে যেতে পারব আমরা। যেমনটা আমি বারবার বলছি, যদি পার্লামেন্টের সব দল দেশ গড়ায় একত্রিত হতে পারে, তাহলে আমরা হয়তো সংকট থেকে আরও আগেই পরিত্রাণ পাব,’ বলেছেন তিনি। -বিবিসি

×