
সংগৃহীত
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরে দেখা দেয় দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ঘুম ঘুম ভাব ও একাগ্রতা হ্রাসসহ নানা সমস্যা। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়রন বা লোহার ঘাটতিই অ্যানিমিয়ার প্রধান কারণ। তাই খাবারে আয়রন, ফলেট এবং ভিটামিন সি যুক্ত উপাদান রাখা জরুরি। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্ত তৈরি ও শোষণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- শাকসবজি যেমন পালং, কালে, ব্রোকলি ইত্যাদিতে থাকে উচ্চমাত্রার আয়রন ও ফলেট, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকর।
- প্রাণিজ উৎস যেমন গরুর লিভার, লাল মাংস, ডিম, মাছে থাকে হিম আয়রন যা শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে।
- মসুর, ছোলা, রাজমা, সয়া, বাদাম এবং শুঁটকিতে থাকে নন-হিম আয়রন, যা শাকসবজির সঙ্গে মিলে শরীরে কাজে লাগে।
- কিসমিস, খেজুর, আখরোট ও অন্যান্য শুকনো ফলে আছে লোহার চমৎকার উৎস।
- স্ট্রবেরি, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা ও তরমুজের মতো ফল ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ, যা লোহা শোষণে সহায়ক।
- তিল, সূর্যমুখী ও কুমড়ার বীজে রয়েছে আয়রন ও ফাইবার, যা রক্তগঠনে সাহায্য করে।
খাবার গ্রহণে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
- আয়রনযুক্ত খাবারের সঙ্গে ভিটামিন সি জাতীয় ফল একসাথে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
- চা-কফির মতো ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়ার সময় আয়রনযুক্ত খাবার থেকে অন্তত দুই ঘণ্টা বিরতি রাখুন।
- শাকের সঙ্গে প্রাণিজ খাবার বা ডাল একসাথে খেলে আয়রনের শোষণ বাড়ে।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে শরীরে ক্লান্তি কমে, মনোযোগ বাড়ে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভবতী নারীদের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী হয়।
শুধু ওষুধ নয়, খাদ্যই হতে পারে অ্যানিমিয়া নিরাময়ের সেরা উপায়। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হ্যাপী